কাঁঠালের বীজ কেন খাবেন?
চারদিকে মৌসুমী ফলের মৌ মৌ গন্ধ। আর এই গন্ধের প্রতিযোগিতায় এগিয়ে জাতীয় ফল কাঁঠাল। এই ফলের প্রতিটি কোয়া যেন অমৃত। যাঁরা ভালবাসেন, তাঁরা জানেন কাঁঠাল খাওয়ার তৃপ্তি কোথায়। কাঁঠালের কোয়ার চেয়েও বেশি জনপ্রিয় এর বীজগুলো। প্রতিবেদন আনন্দবাজার অনলাইনের
মটরডাল হোক কিংবা নিরামিষ তরকারি, কাঁঠালের বীজ দিলে স্বাদটাই বদলে যায়। তা ছাড়া ডালের সঙ্গে কাঁঠালের বীজ ভাজা কিন্তু মন্দ নয়। কাঁঠালের বীজ যে শুধু সুস্বাদু, তা নয়। এর স্বাস্থ্যগুণও রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক শরীরের জন্য কতটা কার্যকরী এই বীজ?
রক্তাল্পতার সমস্যা দূর করতে
ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি, প্রোটিন— সব আছে কাঁঠালের বীজে। সঙ্গে আছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন। রক্তাল্পতার সমস্যা থাকলে এই বীজ খাওয়া অতি জরুরি।
হজমের গোলমাল কমাতে
ফাইবারের পরিমাণ অনেকটাই থাকে কাঁঠালের বীজে। তার প্রভাবে কোলেস্টেরল কমে। সঙ্গে হজমের সুবিধাও হয়। হজম প্রক্রিয়া ভাল হওয়ায় ওজন কমাতেও সাহায্য করে কাঁঠালের বীজ।
ডায়াবেটিকদের জন্য
ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্যও এই বীজ বেশ উপকারি। এতে উপস্থিত ফাইবার খাদ্যের কার্বোহাইড্রেট শুষে নেয়। ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেশি বাড়তে পারে না।
চোখের যত্নে
চোখের জন্যও উপকারী কাঁঠালের বীজ। এতে উপস্থিত ভিটামিন ‘এ’ দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে। চোখের জ্যোতি বাড়িয়ে তুলতেও কাঁঠালের বীজ কার্যকরী। চোখের সমস্যা থাকলে কাঁঠালের বীজ খেতে পারেন। উপকার পাবেন।