শতভাগ প্রণোদনার আওতায় আসছেন মেডিকেলের মৌলিক বিষয়ের শিক্ষকরা

সরকারি মেডিকেল কলেজের মৌলিক আটটি বিষয়ের শিক্ষকদের জন্য শতভাগ মাসিক প্রণোদনা দেবে সরকার। ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর অনুমোদন দিয়েছেন। পাশাপাশি শতভাগ প্রণোদনার আওতায় আসছেন অ্যানেস্থিশিওলজি এবং ভাইরোলজির শিক্ষকরাও।
আজ শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, ‘চিকিৎসা শিক্ষার মৌলিক আটটি বিষয়- অ্যানাটমি, ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, ফরেনসিক মেডিসিন, কমিউনিটি মেডিসিন, ফার্মাকোলজি, মাইক্রোবায়োলজি ও প্যাথলজির শিক্ষকদের জন্য শতভাগ প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মৌলিক আটটি বিষয় মূলত এমবিবিএসের কোর্সের ভিত্তি।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই বিশেষ সহকারী বলেন, ‘শতভাগ প্রণোদনার বিষয়টির নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। তবে কখন থেকে কার্যকর হবে তা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়া হবে।’
অর্থ বিভাগের ২০১৯ সালের ১৮ আগস্টের স্মারক মারফত মঞ্জুরকৃত নির্ধারিত হারে শর্তসাপেক্ষে বেসিক সাবজেক্টের প্রণোদনা ভাতা দেওয়া হয়। ওই স্মারকে নবম গ্রেডে ১০ হাজার, অষ্টম গ্রেডে ১১ হাজার, সপ্তম গ্রেডে ১৩ হাজার, ষষ্ঠ গ্রেডে ১৫ হাজার, পঞ্চম গ্রেডে ১৬ হাজার, চতুর্থ গ্রেডে ১৮ হাজার এবং তৃতীয় গ্রেডে ২০ হাজার টাকা প্রণোদনা ভাতা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে শতভাগ প্রণোদনা কার্যকর হয়ে গেলে, শিক্ষকরা নিজ বেতনের সমপরিমাণ প্রণোদনা ভাতা পাবেন।
এদিকে চিকিৎসা শিক্ষায় মৌলিক আটটি বিষয়ের বাইরেও ২০২০ সাল থেকে অ্যানেস্থিশিওলজি বিভাগকেও প্রণোদনার আওতায় নিয়ে আসা হয়। পরে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চিকিৎসা শিক্ষা-১ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ভাইরোলজি বিভাগও যুক্ত হয় এ তালিকায়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান জানিয়েছেন, মৌলিক আটটি বিষয়ের বাইরে অ্যানেস্থিশিওলজি ও ভাইরোলজি বিভাগের শিক্ষকদেরও শতভাগ প্রণোদনার আওতায় নিয়ে আসা হবে। তবে মৌলিক বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এসব বিভাগের শিক্ষকরা বাইরে প্র্যাকটিস করার সুযোগ পান না। ফলে শিক্ষক সংকট দেখা দেয়। এ সংকট কাটাতে প্রণোদনার ব্যবস্থা চলে আসছে।
উল্লেখ্য, মৌলিক বিষয়ের শিক্ষকদের মাসিক প্রণোদনা ভাতার ক্ষেত্রে তাদেরকে দাপ্তরিকভাবে নন-প্র্যাক্টিসিং ডিক্লারেশন নিতে হয়। কোনো শিক্ষক এতে ব্যর্থ হলে বা প্র্যাকটিসিংয়ের সাথে জড়িত হলে তিনি এই ভাতার জন্য যোগ্য বিবেচিত হন না।