নিউজিল্যান্ডের আইসক্রিমের স্বাদ বাংলাদেশে

কোরবানির ঈদ মানেই ভূরিভোজ। তবে এতে কি আর খাবারে পরিপূর্ণ তৃপ্তি আসে! এর জন্য চাই ডেজার্ট কিছু। তবে এই ঈদে ঘোরাঘুরির ফাঁকে চলে যেতে পারেন আইসক্রিমের পার্লারে। যাঁরা আইসক্রিম ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য সুখবর—রাজধানীতে মজাদার আইসক্রিমের সম্ভার নিয়ে এসেছে নিউজিল্যান্ড ন্যাচারাল বাংলাদেশ।
সবুজ প্রকৃতি আর শান্ত আবহাওয়ার দেশের কথা চিন্তা করলেই আপনার মানসপটে ভেসে উঠবে নিউজিল্যান্ডের নাম। দেশটি বিখ্যাত ডেইরি ফার্মের জন্য। অনেকের মতে, একদম খাঁটি এবং গরুর সুস্বাদু দুধের দেশ একমাত্র নিউজিল্যান্ড। এখানকার দুধ দিয়ে তৈরি হয় নানা ধরনের খাবার। তেমনই একটি খাবার আইসক্রিম। সে দেশেরই এক আইসক্রিম কোল্ফক্সানি নিউজিল্যান্ড ন্যাচারাল। এটির মূল বৈশিষ্ট্য ঘন দুধ। বিশ্বের নানা প্রান্তের আইসক্রিম কোল্ফক্সানিগুলোর মধ্যে নিউজিল্যান্ড ন্যাচারাল রয়েছে প্রথম সারিতে। বাংলাদেশে এর যাত্রা শুরু হয় ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে। এর মূলে রয়েছে চার বন্ধুর অক্লান্ত পরিশ্রম। কারণ, একটা আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড আনা এতটা সহজ নয়।
বনানী ১১ নম্বর রোডে ঢুকে কিছুটা পথ এগিয়ে এলে হাতের বাঁ পাশেই পাবেন আইসক্রিমের এই পার্লার। সিঁড়ি ধরে দোতলায় ওঠার সময় ভেসে আসবে চকলেটের হালকা সুবাস। কাচের দরজা পেরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেই পাবেন চকলেটের কড়া সুবাস। সঙ্গে পাবেন ঠান্ডা অনুভূতি। পার্লারটি জমে উঠতে থাকে বিকেল ৫টা থেকে।
পার্লারের ইন্টেরিয়রে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে আইসক্রিমের আবহ। দেয়ালে গাঢ় দুধের সরের কালার আর মাঝে চকলেট রঙের ছোঁয়া। এ ছাড়া বসার আসনগুলোতে প্রাধান্য পেয়েছে এ দুটি রং। এখানে সব মিলিয়ে ৬০ জনের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে পাবেন ২৬ ধরনের আইসক্রিমের ফ্লেভার। এ ছাড়া মিক্সড আইটেম তো রয়েছেই। মেন্যু কার্ডে চোখ বুলিয়ে অর্ডার দিতে পারেন আপনার পছন্দের আইসক্রিমটি। তবে আপনার টেবিলে আসামাত্র কিছুটা দ্রুতই শেষ করতে হবে তা। কারণ, এ আইসক্রিম খুব দ্রুত গলে যায়। ভালো আইসক্রিমের বৈশিষ্ট্য হলো তা দ্রুত গলে যাবে। আইসক্রিম বেশি সময় শক্ত রাখতে জিলেটিনের বিকল্প নেই। তবে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
পরিবার, বন্ধু কিংবা বান্ধবী, যে কারো সঙ্গে চলে আসতে পারেন এখানে। যদি কেউ আইসক্রিম খেতে না চান, তার জন্যও ব্যবস্থা আছে। আইসক্রিমের পাশাপাশি এখানে আরো পাবেন স্যান্ডউইচ, জুস বা কফি আইটেম। তবে পার্লারটির একটি ভিন্ন সংযোজন আইসক্রিম স্যান্ডউইচ।
এখানে বিভিন্ন ফলের মিশ্রণে পাবেন স্মুদি আইটেম, মাত্র ৫৫০ টাকায়। চারটি ভিন্ন ফ্লেভারে আইস ড্রিংকস পাবেন ৫৫০ টাকায়। বিভিন্ন ফলের মিশ্রণে আইসত্রিক্রম ১ স্কুপ ২৫০ টাকা, ২ স্কুপ ৩৫০ টাকা এবং ৩ স্কুপ ৫০০ টাকায়। এ ছাড়া বিভিন্ন ফ্লেভারের এক প্যাক আইসক্রিম পড়বে ৬৫০ টাকা। বড় একটি ফ্যামিলি প্যাকেজ থাকছে এক হাজার ৫০০ টাকার।