সুন্দর চেহারা মানেই বুদ্ধিমান!

প্রথমে দর্শনধারী, পরে গুণবিচারী এমন একটা কথা প্রচলিত আছে। মনের অজান্তেই আমরা এটাই বিশ্বাস করে চলি। সেটা আবারো প্রমাণিত হলো নতুন এক জরিপে।
জরিপে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ মানুষের কাছে সুন্দর চেহারা মানেই বুদ্ধিমান মানুষ। লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ওয়্যার্ড’ জানিয়েছে এ তথ্য।
ওয়্যার্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ১০০ জন শিক্ষার্থীর ছবি নিয়ে সেগুলো সাধারণ কিছু মানুষকে দেখিয়েছেন যাঁরা ও শিক্ষার্থীদেরকে চেনেন না।
এরপর তাদের ওইসব শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে বুদ্ধিমত্তা, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, সৌন্দর্য প্রভৃতি বিষয়ে নম্বর দিতে বলা হয়েছে। মজার ব্যাপার হলো, ওই ১০০ জনের মধ্যে যেসব শিক্ষার্থীর চেহারা আকর্ষণীয় ছিল, তারা প্রায় সবাই বুদ্ধিমত্তার ব্যাপারে বেশি নম্বর পেয়েছেন।
শুধু তাই নয়, সুন্দর চেহারার শিক্ষার্থীরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাতেও ভালো করবেন, এমনটাই অনুমান করেছেন জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা।
গবেষক দলের প্রধান শন থালামাস বলেন, ‘সাধারণত আমরা সব ক্ষেত্রেই সুন্দর চেহারার মানুষদের বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি। রাজনীতি বা বিজ্ঞাপনী প্রচারণার দিকে এক নজর তাকালেই তা বোঝা যায়। সাধারণত সুন্দর চেহারা মানুষকেই যোগ্যতর হিসেবে দেখার একটা প্রবণতা আমাদের মাঝে রয়েছে, যা সম্পূর্ণ ভুল।’
সৌন্দর্যের ওপর বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার ব্যাপারটিকে গবেষকরা নাম দিয়েছেন ‘অ্যাট্রাক্টিভনেস হ্যালো’। মূলত চেহারা দিয়েই সবকিছু বিচার করবার প্রবণতাকে বোঝায় এই শব্দ যুগল দ্বারা।