রাতের যে ছয় অভ্যাস ঘুম নষ্ট করে
ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিদ্রাহীন রাত কাটানো বেশ চাপের। মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে নানা রকম চিন্তা আমাদের মাথায় আসে। মানসম্মত ঘুমের অভাব খারাপ স্বাস্থ্যবিধির কারণ। আমরা আমাদের দিনের প্রায় এক তৃতীয়াংশ ঘুমিয়ে কাটাই। আর বাকি সময় কাজ করি। তাই শরীরকে বিশ্রাম দিন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছু অভ্যাস ত্যাগ করুন। নিজেকে একটি শান্তিপূর্ণ ঘুম উপহার দিন।
ফরিদাবাদের অমৃতা হাসপাতালের সাইকিয়াট্রিস্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডঃ মীনাক্ষী জৈন এইচটি ডিজিটালকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আমাদের কী করা উচিত নয় সে সম্পর্কে কথা বলেছেন।
ক্যাফিনেটেড পানীয় পান করা
গবেষণা অনুসারে, ক্যাফিন অ্যাডেনোসিন রিসেপ্টরগুলোকে ব্লক করে। যার ফলে ঘুম ব্যাহত হয়। রাতের বেলা নিয়মিত ক্যাফিন (যেমন-চা, কফি, কোল্ড ড্রিংকস) গ্রহণ ঘুম বঞ্চনার একটি কারণ হতে পারে। যার ফলে বিরক্তি প্রকাশ পায়। কাজের কর্মক্ষমতা কমতে থাকে। এটি অ্যাসিডিটি বাড়িয়ে তুলতে পারে। পেটের আলসার এবং পেটে ব্যথা হতে পারে।
নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন
ঘুমানোর আগে অ্যালকোহল পান করা, ধূমপান করা, গাঁজার ব্যবহার ঘুমের মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি আমাদের জ্ঞানীয় প্রক্রিয়াগুলোর তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ডোমেনকে প্রভাবিত করে। একইভাবে উত্পাদনশীলতাকে প্রভাবিত করে। উপরন্তু, এটি মনোসামাজিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।
ভারী খাবার খাওয়া
ঘুমানোর আগে ভারী খাবার খাওয়ার ফলে অ্যাসিডিটি, গ্যাস্ট্রোসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স, বুকে ব্যথা এবং পেটে ব্যথা বাড়তে পারে। এটি ঘুমের মানের ব্যাঘাত ঘটায়। শরীরের চর্বি জমতে সাহায্য করে। সুতরাং, ঘুমানোর আগে অতিরিক্ত ক্যালোরিযুক্ত খাবার, যেমন- ক্যান্ডি, আইসক্রিম ইত্যাদি এড়ানো উচিত।
কঠোর ব্যায়াম
বিশেষজ্ঞরা ঘুমানোর ঠিক আগে কঠোর ব্যায়াম করতে নিষেধ করেন। কারণ এটি ঘন ঘন ঘুম ভাঙ্গার কারণ হতে আপ্রে। ঘুম আসতে দেরি হতে পারে। যার ফলে নেতিবাচক শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার
ঘুমোতে গেলে সাথে করে কোন ডিভাইস নেবেন না। এ সব ডিজিটাল ডিভাইস থেকে নির্গত নীল আলো মেলাটোনিন উত্পাদন করে। ঘুমের হরমোনে নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলে। ঘুমিয়ে পড়া কঠিন হয়ে ওঠে।
নেতিবাচক আত্ম-আলোচনা
দিনের শুরুটি কেবল ইতিবাচক ভাবে শুরু করলে হয় না। রাতেও একই মনোভাব নিয়ে থাকতে হয়। নেতিবাচক আত্ম-আলোচনা, আত্ম-সমালোচনা, অনুশোচনা স্ট্রেসের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। আত্মবিশ্বাস এবং অনুপ্রেরণা কমিয়ে দিতে পারে। এর ফলে হতাশা এবং উদ্বেগও দেখা দিতে পারে।
সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস