যেভাবে ফলের রস বেশিদিন ভাল রাখবেন
সারাদিনের কিংবা দুপুরের ক্লান্তি শেষে এক গ্লাস ঠান্ডা ফলের রসের চেয়ে আরামদায়ক কিছু হতে পারে না। কিন্তু কাটা ফলের রস দীর্ঘক্ষণ তাজা রাখা সহজ নয়। তাই এমন কিছু উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক যাতে ফলের রস দীর্ঘসময় তাজা রাখা যাবে।
সঠিক ফল নির্বাচন
রস দীর্ঘক্ষণ তাজা রাখতে এমন ফল ব্যবহার করতে হবে, যেগুলো পাকা হলেও বেশি নরম হয় না। অতিরিক্ত পাকা বা নরম ফল দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। আনারস, জাম, পেঁপে, আপেল ও আঙুরের মতো ফলের রস বেশিদিন ভাল থাকে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
ফল ভাল করে ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করে নেওয়া কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছুরি ও ফল কাটার অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহারের আগে ভাল করে ধুয়ে শুকানোর পর ফল কাটার জন্য ব্যবহার করতে হবে। রস তৈরির পাত্রও পরিষ্কার রাখতে হবে।
অক্সিজেন প্রতিরোধ
কাটা ফলের রস অক্সিজেনের সংস্পর্শে এলে তা দ্রুত বাদামি হয়ে যায় এবং স্বাদ নষ্ট হয়। রস তৈরির পর অবিলম্বে একটি কাঁচের পাত্রে ঢেলে ঢাকনা ভালভাবে বন্ধ করে দিতে হবে। পাত্রের রসের উপরিতলে লেবুর রস, ভিনেগার বা অ্যাসকরবিক অ্যাসিডের মিশ্রণ (এক চা চামচ প্রতি কাপ রস) যোগ করা যেতে পারে। এতে অক্সিডেশন প্রক্রিয়া ধীর গতিতে হবে।
সংরক্ষণ
কাচের পাত্রে ফলের রস সংরক্ষণ করাই সবচেয়ে ভাল। ধাতব পাত্রে বেশিক্ষণ রাখলে তা ফলের রসের সঙ্গে বিক্রিয়া করতে পারে। রস ঠান্ডা, শুষ্ক জায়গায় সংরক্ষণ করতে হবে। সরাসরি সূর্যের আলো এড়িয়ে চলা ভাল।
বরফ ব্যবহার না করা
রস তৈরির সময়ে বরফ ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে রস পাতলা হয়ে যাবে। রসে মধু, চিনি বা অন্যান্য মিষ্টি যোগ করতে পারেন। এতে স্থায়িত্ব কিছুটা বাড়তে পারে। মনে রাখতে হবে, প্রতিটি ফলের রসের নিজস্ব স্থায়িত্ব থাকে। যদিও ফলের রসের স্থায়িত্ব বাড়ানোর কিছু উপায় বিদ্যমান। তবুও রস তৈরির পর দ্রুত খেয়ে ফেলাই সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর।