কোন কাপড় কতদিন পর ধোয়া উচিত, জানেন কি?
পোশাকের ময়লা দূর করতে এবং রোগমুক্ত থাকতে আমরা প্রতিদিন জামা-কাপড় ধুয়ে থাকি। তাই সারাদিন পর বাড়ি ফিরেই আগে সমস্ত পোশাক ওয়াশিং মেশিনে দিয়ে দেন। জিনস, শার্ট, কামিজ কিংবা লেগিংস— সবই এক নিয়মে ধুয়ে থাকেন। কিন্তু অভিজ্ঞরা বলছেন, সব পোশাকের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য না।
এমন অনেক পোশাক রয়েছে, যেগুলো নিয়মিত ধোয়া হলে তার রং নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পোশাকের ফেব্রিকের ধরন এমন হয়ে যায় যে, তা দেখে একেবারেই নতুন বলে মনে হয় না। কোন পোশাক কীভাবে ধুতে হবে, তার বিবরণ ট্যাগে উল্লেখ থাকে। কিন্তু কোন পোশাক কতবার ধোয়া উচিত, সে সংক্রান্ত কোনো নিয়ম লেখা থাকে না। কোন কাপড় কতদিন না ধুয়ে পরা যায়, এটা জেনে রাখা জরুরি।
জ্যাকেট
চামড়া বা চামড়ার মতো দেখতে উপকরণ দিয়ে তৈরি জ্যাকেট কাচা যায় না। তবে ইদানীং নানা ধরনের সিন্থেটিক ফেব্রিক দিয়েও জ্যাকেট তৈরি হয়। সেগুলো বাড়িতে না কেচে লন্ড্রিতে দেওয়া যায়। লাইনিং দেওয়া ব্লেজারের ক্ষেত্রেও তা-ই। শীত শেষে শীতের সমস্ত পোশাক একেবারে কেচে তুলে দেওয়ার নিয়ম এখনও বজায় রেখেছেন অনেকেই। কিন্তু জ্যাকেট যদি নোংরা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে একাধিক বার কাচতে হবে।
জিন্স
স্কুল, কলেজ, অফিস কিংবা ঘুরতে যাওয়া— জিনস অনেকের কাছেই জাতীয় পোশাকের মতো। প্রতিদিন জিনস পরলে তা কাচারও প্রয়োজন হয়। কিন্তু এত ঘন ঘন কাচার ফলে ফেব্রিক নষ্ট হয়ে যেতে পারে। স্ট্রেচ করার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়াও অস্বাভাবিক নয়। তাই একবার পরার পরেই জিনস কেচে ফেলার প্রয়োজন নেই। অন্তত ৪-৫ বার পরার পর তা কাচা যেতে পারে। গরমকালে ঘাম বেশি হয়। সেক্ষেত্রে ২-৩ বার পরার পরেও জিনস কাচা যেতে পারে।
অন্তর্বাস
অন্তর্বাসের ক্ষেত্রে এই নিয়মটা একেবারেই আলাদা। সম্ভব হলে একবার ব্যবহার করার পরই তা ধুয়ে ফেলা উচিত। তবে ঊর্ধ্বাঙ্গের অন্তর্বাসের ক্ষেত্রে অনেক নারীই সে নিয়ম মানেন না। শুধু ত্বক সুরক্ষার জন্য নয়, অন্তর্বাসের ফেব্রিক ভাল রাখতে হলেও এই নিয়ম মেনে চলা জরুরি।
লেগিংস
কুর্তি বা কামিজের সঙ্গে জিনস, ট্রাউজার্সের বদলে লেগিংস পরেন অনেকেই। দিন কয়েক ব্যবহার করার পরেই অনেকে অভিযোগ করেন, লেগিংসের ফিটিংস আর আগের মতো নেই। রংও ফেকাশে হয়ে গিয়েছে। ঘন ঘন লেগিংস কাচলে কিন্তু এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই এই পোশাকটি প্রতিদিন কাচতে যাবেন না। অন্ততপক্ষে ২-৩ বার ব্যবহার করার পর লেগিংস কাচলে এতটা সমস্যা হবে না।
পাজামা
যাদের প্রচণ্ড ঘাম হয়, তাদের প্রতিদিনই পাজামা কেচে নেওয়া উচিত। যদি তা সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে একই পাজামা অন্তত পক্ষে তিন-চার বার পরা যেতে পারে।