একটি চলচ্চিত্রে রোমান্স করবেন সুপারস্টার সালমান খান ও এশিয়ার সেরা আবেদনময়ী দীপিকা পাড়ুকোন—এ খবর শোনার জন্য কী অধীর আগ্রহে বসে আছে পুরো বি-টাউন। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বহুল প্রতীক্ষিত এ জুটি দেখার সৌভাগ্য সহসাই হচ্ছে না!

ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শুটিং সেটে সালমানের আচরণ এমন, যা সম্ভবত প্রতিবন্ধক হয়ে উঠছে দুজনের সামনে। শোনা যায়, যখন সেটে থাকেন, সালমান চান তাঁর নায়িকারা হাসি-ঠাট্টা করুক, কৌতুকে মেতে উঠুক সেট। কিন্তু দীপিকা এমন একজন, যিনি নাকি মশকরা পছন্দই করেন না।

ডেকান ক্রনিকলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দীপিকা পাড়ুকোনের একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলেছেন, ‘সেটে সালমান সাধারণত নায়িকাদের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টা, মশকরা করেন। দীপিকা একদমই এসব করেন না। সালমানের সামনেও তিনি নিজের স্বভাব বজায় রাখেন। আর খুব সম্প্রতি তাঁর বিষণ্ণতাকে বিলাস বলে ঠাট্টা করেছেন সালমান।’

সম্প্রতি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে সালমান বলেন, বিষণ্ণ হওয়া বা মনখারাপ করা বা আবেগী হওয়ার মতো ‘বিলাসিতা’ করার সময় নেই তাঁর। এ মহাতারকা আরো বলেন, নিজের জীবনে কী হচ্ছে না হচ্ছে, কোনো কিছুকেই তোয়াক্কা করেন না।

২০১৫ সালে এক সাক্ষাৎকারে চোখের বাঁধ ভেঙেছিল দীপিকা পাড়ুকোনের। প্রসঙ্গ ছিল বিষণ্ণতা। বিষণ্ণতার কথা বলতে গিয়েই কেঁদে ফেলেছিলেন দীপিকা। বলেন, জীবনে বিষণ্ণতা তাঁকে অনেক ভুগিয়েছে। কঠিন সময় পার করেছেন। পরে অবশ্য দুঃসময় কাটিয়েও উঠেছেন।

সেই বিষণ্ণতাকে নিয়ে কেউ যদি টিটকারী বা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে, তবে কি ছেড়ে কথা বলবেন? ছেড়ে কথা বলেননি দীপিকাও। ভোগ সাময়িকীকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দীপিকা পাড়ুকোন পাল্টা বলেন, ‘একজন পুরুষ তারকা সম্প্রতি বলেছেন, বিষণ্ণ হওয়ার মতো বিলাসিতা করার সময় নাকি তাঁর নেই। যেন ইচ্ছে করেই কেউ বিষণ্ণতায় ভোগে!’

নিজের বিষণ্ণতার সেই দিনগুলোর কথা স্মরণ করে দীপিকা আরো বলেন, বিষণ্ণতা যে কী ভয়াবহ, তা নিজের লড়াইয়ের অভিজ্ঞতাই প্রমাণ করে। ‘প্রতিটি মুহূর্তই ছিল লড়াইয়ের। সব সময় ক্লান্ত থাকতাম,’ বলেন দীপিকা।

সমসাময়িক এই ঘটনায় মনে হচ্ছে, সালমান খান ও দীপিকা পাড়ুকোনের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। আর কবেই বা এ যুদ্ধ শেষ হবে, এখনো জানে না বি-টাউন।