আমি সুস্থ, অসুস্থ ভেবে অনেকে কাজে ডাকে না : খালেদা আক্তার
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী খালেদা আক্তার কল্পনা ৩৭ বছরের ক্যারিয়ারে পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। বর্ণিল ক্যারিয়ারে শতাধিক নাটকেও অভিনয় করেছেন তিনি। দুই বছর আগে বাম চোখে সমস্যা দেখা দিলে ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করান। বর্তমানে তিনি ভালো আছেন, তবে এখনো তাঁকে অসুস্থ ভেবে অনেকেই কাজে ডাকেন না বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
খালেদা আক্তার কল্পনা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এখন করোনার সময় সবাই যেভাবে ঘরবন্দি রয়েছেন, আমিও সেভাবেই আছি। তবে করোনা শুরু হওয়ার আগেও অনেকটা সময় ঘরে থেকেছি। কিছু রিয়েলিটি শোতে বিচারক হিসেবে কাজ করেছি। এ ছাড়া কিছু অনুষ্ঠানে যেতে হয়। অবশ্য কিছু অনুষ্ঠানে গিয়ে বিব্রতবোধ করেছি। কারণ অনেকেই এসে আমার কাছে জানতে চেয়েছে, আমার শরীর ভালো কি না, এখন কেমন আছি। তাদের প্রশ্নের মধ্যেই ছিল, আমি একজন অসুস্থ মানুষ। এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা আমাকে অসুস্থ ভাবেন, আগের মতো আর কাজে ডাকেন না। আমি কী করে বোঝাব, আমি একেবারেই সুস্থ, সাধারণ স্বাভাবিক মানুষের মতোই সুস্থ, বরং কাজ করতে না পারলে আমি অসুস্থ হয়ে যাব।’
দুই বছর আগে এক চোখে সমস্যা হয়েছিল জানিয়ে কল্পনা বলেন, ‘দুই বছর আগে আমার বাম চোখে সমস্যা হয়েছিল। ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করার পর ভালো হয়েছে। এখন কোনো সমস্যা নেই। তবে ছয় মাসে একবার আমাকে ভারতে যেতে হয় চোখ পরীক্ষা করাতে। গত মার্চে যাওয়ার কথা ছিল, করোনার কারণে যেতে পারিনি। ডায়াবেটিস আছে, এটা অনেকেরই আছে। কিছু বিষয় মেনটেইন করলে এটা কোনো সমস্যা নয়।’
কল্পনা আরো বলেন, ‘৩৭ বছর টানা কাজ করেছি। অভিনয়টা শুধু পেশা নয়, এটা আমার নেশাও। আমি আরো কাজ করতে চাই, যতদিন বেঁচে আছি। বরং ঘরবন্দি থাকলে আমি অসুস্থ হয়ে যাব। যারা এতদিন আমাকে নিয়ে কাজ করেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ। আপনাদের বলব, আমি সুস্থ, আমি কাজ করতে চাই।’
খালেদা আক্তার কল্পনা ১৯৮৯ সালে ‘জিনের বাদশা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
এফডিসির নতুন মুখের সন্ধানে কার্যক্রমের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে ১৯৮৪ সালে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন খালেদা আক্তার কল্পনা। মিজানুর রহমানের ‘হনুমানের পাতাল বিজয়’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করলেও তাঁর অভিনীত প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র মতিন রহমানের ‘রাধাকৃষ্ণ’।