অল্পতেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ
২৪ ঘণ্টা আগে সিরিজ জয়ের পর আরেকটু ভালো ব্যাটিংয়ের তাগিদ দিয়েছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। মন্থর উইকেটে আজ চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে মোটামুটি ভালো শুরুও পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সময়ের সঙ্গে একে একে হতাশ করলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। উইকেটে আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যস্ত ছিলেন সৌম্য,মাহমুদউল্লাহ, সোহান, শামীমরা। ব্যাটিং বিপর্যয়ে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে অল্পতেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ। সিরিজে প্রথম জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার চাই ১০৫ রান।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ১০৪ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেছেন মোহাম্মদ নাঈম।
এদিন উইকেটের সুবিধা কাজে লাগাতে টস জিতেই ব্যাটিং নিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু আগে ব্যাটিংয়ের সুবিধাটা কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। গত তিন ম্যাচে ধারাবাহিক ব্যর্থ হওয়া সৌম্য সরকার এই ম্যাচেও হতাশ করেছেন। তৃতীয় ওভারে জশ হেইজেলউডের রাউন্ড দ্য উইকেটে করা লেংথ বলটি ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে। সৌম্য সেখান থেকেই পুল করতে যান। কিন্তু তাঁর পজিশনই ঠিক ছিল না। সৌম্যের ব্যাটে লেগে বল উঠে যায় ওপরে। মিড অফে সহজ ক্যাচ লুফে নিয়ে সৌম্যকে সাজঘরের পথ দেখান অ্যালেক্স কেয়ারি।
আগের তিন ম্যাচে ৪ রান করা সৌম্য এবার করলেন এক বাউন্ডারিতে ১১ বলে ৮ রান। পুরো সিরিজে আজই প্রথম বাউন্ডারির দেখা পেলেন এই ওপেনার। সৌম্যের বিদায়ে ২৪ রানে ওপেনিং জুটি।
সৌম্যের পর সাকিব আল হাসান নাঈমের সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু আগের দিনের সাকিবকে খুব একটা ছন্দে পাওয়া গেল না। ব্যাটিংয়ে ধুঁকতে দেখা যায়। ২৬ বল টিকে থাকলেও মাত্র ১৫ রান নিতে পেরেছেন তিনি। থিতু হয়ে জশ হেইজেলউডের বলেই আউট হন তিনি।
রাউন্ড দ্য উইকেটে হেইজেলউডের বল জায়গা বানিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব। টাইমিং ঠিক হয়নি। বল চলে যায় কিপারের হাত। সাকিব ফেরার পর একে একে ব্যর্থতা দেখা মাহমুদউল্লাহ, নুরুল হাসান সোহান।
আগের ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ আজ রানের খাতাই খুলতে পারেননি। মিচেল সোয়েপসনের ফুল লেংথ বল সুইপ করতে গিয়ে লাইন মিস করেন মাহমুদউল্লাহ। বল টার্ন না করে সোজা গিয়ে লাগে মাহমুদউল্লাহর প্যাডে। রিভিউ নেননি অধিনায়ক। ফিরে যান সাজঘরে।
মাহমুদউল্লাহর পর সোহানকেও নিজের শিকার বানান সোয়েপসন। অসি তারকার গুগলি সোহান বুঝে ওঠার আগেই লেগে যায় প্যাডে। তিন রানের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
সেখান থেকে বাঁচাতে পারলেন না নাঈমও। সোয়েপসনের বলেই কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে ফেরেন তিনি। ওপেনিংয়ে নামা নাঈম করেন ২৬ রান। ৩৬ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল দুটি বাউন্ডারি। সবার স্লো গতির ব্যাটিংয়ের মাঝে ১৭ বলে ২০ রান করে আউট হন আফিফ।
অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের হারিয়ে মন্থর উইকেটে বেশিদূর যেতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ১০৪ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দারুণ করেছেন সোয়েপসন। মাত্র ১২ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন তিনি। ২৪ রান দিয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন হেইজেলউড। তিন উইকেট নিয়েছেন অ্যান্ডু টাই। একটি নিয়েছেন অ্যাশটন অ্যাগার।
বাংলাদেশ :.২০ ওভারে ১০৪/৯ (সৌম্য ৮, নাঈম ২৬, সাকিব ১৫, মাহমুদউল্লাহ ০, আফিফ ২১, সোহান ২১, শামীম ৩ , মেহেদী ২৩, শরিফুল ইসলাম ০, নাসুম ২; হেইজেলউড ৪-০-২৪-২, সোয়েপসন ৪-০-১২-৩, টানার ৪-০-২২-০, অ্যাগার ৪-০-২২-১, টাই ৩-০-১৮-৩, হেনরিকেস ১-০-৫-০)।