আম্পায়ারিং নিয়ে আইসিসিকে জানাবে বাংলাদেশ
ডারবান টেস্টের পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনেই হেরে গেছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ২২০ রানে হেরেছে সফরকারীরা। তবে এই টেস্টের জয়-পরাজয় ছাপিয়ে আলোচনায় পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিং। গতকাল রোববার টেস্টের চতুর্থ দিনই আম্পায়ারদের পক্ষপাতমূলক আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাকিব আল হাসান। আজ অধিনায়ক মুমিনুল হকের কণ্ঠেও শোনা গেল একই সুর। এবার জানা গেল, আম্পায়ারদের পক্ষপাতমূলক আচরণের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করবে বাংলাদেশ।
ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোকে খবরটি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। বিসিবির এই পরিচালক বলেছেন, ‘ওয়ানডে সিরিজের পর আমরা আম্পায়ারিং নিয়ে একটি অভিযোগ করেছি। তখন ম্যাচ রেফারি প্রাথমিকভাবে আমাদের টিম ম্যানেজার নাফিস ইকবালের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিল। তবে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর সে নরম হয়। আমরা আরেকটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করব প্রথম টেস্টের পর।’
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, আইসিসির উচিত, এটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা। নিরপেক্ষ আম্পায়ারিং আবার ফিরিয়ে আনা উচিত। কোভিডের আগে যেমন ছিল তেমন। কোভিডের কারণে মাঝে হয়নি। এখন তো কোভিড নিয়ন্ত্রণে আছে। আবার নিরপেক্ষ আম্পায়ারিং ফিরিয়ে আনার উচিত। শুধু এই সিরিজে নয়, অনেক সিরিজেই এমন (ভুল আম্পায়ারিং) হয়েছে।’
একই সঙ্গে মুমিনুল কথা বললেন স্লেজিং নিয়েও। বাংলাদেশ অধিনায়ক জানালেন, ডারবান টেস্ট চলাকালীন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের স্লেজিং করতে গিয়ে বাজেভাবে গালাগালি করেছেন।
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক বলেন, ‘ক্রিকেট খেলায় স্লেজিং সব সময় হয়। স্লেজিং হবে এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু স্লেজিং যখন গালাগালির পর্যায়ে চলে যায়, এটা খুব খারাপ ব্যাপার। আমার মনে হয়েছে, মাঝেমধ্যে ওরা গালাগালি করছিল, খুব বাজেভাবে করছিল। যেটা আম্পায়াররা ওইভাবে খেয়াল করেননি।’
এর আগে গতকাল রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে সাকিব লিখেছেন, ‘আমার মনে হয়, আইসিসির আবারও নিরপেক্ষ আম্পায়ারে ফিরে যাওয়া সময় হয়েছে। যেহেতু করোনা পরিস্থিতি ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোতে অনেকটাই ঠিকঠাক।’
নিজের স্ট্যাটাসের সঙ্গে হ্যাশট্যাগ দিয়ে জুড়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার টেস্ট। মূলত করোনার কারণে আম্পারিংয়ে কিছুটা পরিবর্তন এনেছিল ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। নতুন নিয়মে করোনার সময়ে ভ্রমণে অসুবিধার কারণে টেস্টে নিরপেক্ষ আম্পায়ারের বদলে এখন দায়িত্বে থাকেন স্বাগতিক দেশের আম্পায়াররা। যে কারণে নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে অতিথিদের ক্রিকেটারদের অসন্তুষ্টি দেখা যায়। এবার সেই তালিকায় যোগ হলো বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নাম। সতীর্থদের হয়ে সাকিব আল হাসান প্রথমবার এর প্রতিবাদ জানালেন।