এক ম্যাচে মেসির তিন রেকর্ড
চিলির বিপক্ষে দলকে জেতানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন লিওনেল মেসি। ম্যাচের প্রথমার্ধে লিডও এনে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারলেন না। পয়েন্ট হারানোর হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে। তবে পয়েন্ট হারানোর ম্যাচেও তিনটি রেকর্ড করেছেন আর্জেন্টাইন তারকা মেসি।
আজ মঙ্গলবার ভোরে ব্রাজিলের রিও দে জেনেইরোর নিল্তন সান্তোসে অনুষ্ঠিত ম্যাচে চিলির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করেন মেসি। অন্যদিকে চিলির পক্ষে পেনাল্টি থেকে গোলটি করেন এদুয়ার্দো ভার্গাস।
অসাধারণ ফ্রি কিকে ম্যাচের প্রথমার্ধে গোল করেন মেসি। এই গোলের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে এখন দেশের হয়ে মেসিই সর্বোচ্চ গোলদাতা। এর আগে রেকর্ডটি ছিল তাঁর পূর্বসূরি গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার। বর্তমানে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ৩৯টি গোল হলো মেসির। মোট ৯৮টি ম্যাচ খেলে এ গোলগুলো করেছেন এ তারকা। যার ছয়টি এসেছে বিশ্বকাপে, ২৩টি বাছাই পর্বে এবং ১০টি কোপা আমেরিকায়। বাতিস্তুতার গোল সংখ্যা ছিল ৩৮টি।
দ্বিতীয়ত আর্জেন্টিনার হয়ে এতদিন একমাত্র ছয় আমেরিকা খেলা তারকা ছিলেন তেসোরিয়েরে। এবার মেসিও সেই রেকর্ড স্পর্শ করলেন।
এ ছাড়া এই সময়ের অন্যতম সেরা প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকেও ছাড়িয়েছেন মেসি। ফ্রি কিক গোলের হিসেবে এতো দিন রোনালদোর সমান ৫৬টি গোল ছিল মেসির। আজ চিলির বিপক্ষে জুভেন্টাসকে ছাড়িয়ে গেছেন রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
আজ ম্যাচটির শুরু থেকেই আক্রমণে ধার দেখিয়েছিল লিওনেল স্কালোনির দল। পুরো ম্যাচে শট নিয়েছিল ১৮ বার। যার মধ্যে ৫টি ছিল অনটার্গেট। কিন্তু এত চেষ্টার পরও চিলির রক্ষণ ভাঙতে পারেননি মেসিরা।
ম্যাচের ৩৩ মিনিটে গোল পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। চিলির ডি বক্সের একটু বাইরে থেকে ফ্রি-কিক পায় আর্জেন্টিনা। দারুণ বাঁকানো শটে সেটিকে গোলে রূপ দেন রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার মেসি। ঝাঁপিয়ে বল আটকানোর চেষ্টা করেও সফল হতে পারেননি চিলির তারকা ব্রাভো।
প্রথমার্ধে গোল খেয়ে বসা চিলি বিরতির পর সমতায় ফেরে। আর্তুরো ভিদালকে ডি-বক্সে নিকোলাস তাগলিয়াফিকো ফাউল করলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টি পায় চিলি। তখন ভিদালই পেনাল্টি শট নেন। কিন্তু ইন্টার মিলানের মিডফিল্ডারের নেওয়া পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস। বল ক্রসবারে লেগে ফেরার পর ফিরতি বলে হেড লাগিয়ে জালে পাঠিয়ে দেন ভার্গাস। সঙ্গে সঙ্গে আনন্দে ভাসে চিলি।
এরপর বাকিটা সময় নিজেদের রক্ষণ আগলে খেলে চিলি। বেশ কয়েকবার সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি আর্জেন্টিনা। ফলে পয়েন্ট হারানোর হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে।