জোড়ায়-জোড়ায় আউট বাংলাদেশের আরেক দুশ্চিন্তা!

ইনিংসের তৃতীয় ওভারের খেলা চলছিল তখন। ভারতীয় তরুণ পেসার দীপক চাহার সে ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে লিটন দাস ও সৌম্য সরকারকে সাজঘরে ফেরান। হ্যাটট্রিক সম্ভবনা জাগিয়েও শুরুতে সে কীর্তিটি গড়তে পারেননি তিনি। দীপক শুরুতে হ্যাটট্রিক-সাফল্য না পেলেও জোড়া আঘাত হেনে বাংলাদেশের ব্যাটটিংয়ে বড় একটি ধাক্কা দেন তিনি।
পরে অবশ্য তৃতীয় উইকেটে নাঈম ও মিঠুন দারুণ একটি পার্টনারশিপ গড়েন। তাঁরা ৯৮ রানের জুটি গড়ে দারুণ আশা জাগান, কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেননি। আবারও জোড়ায় আউট। ১৩তম ওভারের শেষ বলে মিঠুন ফেরেন ২৭ রান করে আর ১৪তম ওভারের প্রথম বলে মুশফিকুর রহিম কোনো রান না করেই আউট হন।
এরপরও আশা ছিল যখন নাঈম উইকেটে ছিলেন। কিন্তু তিন ব্যক্তিগত ৮১ রান করে ১৬তম ওভারের তৃতীয় বলে সরাসরি বোল্ড হন শিভম দুবের বলে। পরের বলে তরুণ আফিফ হোসেনও আউট হন কোনো রান না নিয়ে।
এরপর শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে মুস্তাফিজুর রহমান ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব আউট হন দীপকের বলে। আরেকটি জোড়ায় আউট বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের হতাশার চিত্র ফুটে ওঠে।
অবশ্য এদিন ক্যারিয়ার-সেরা বোলিংয়ের পর দীপক তুলে নিলেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম হ্যাটট্রিক। ৩.২ ওভার বোল করে মাত্র ৭ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
এদিনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ইতিহাস গড়লেন চাহার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চাহারের এই বোলিংয়েই টি-টোয়েন্টির সেরা বোলিং ফিগার। বাংলাদেশের হারানোর দিনে ভারতীয় সমর্থকদের নজর কাঁড়লেন ২৭ বছর বয়সী এই বোলার।
এর আগে ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কান স্পিনার অজন্তা মেন্ডিস ৪ ওভারে ৮ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন পর লঙ্কান স্পিনারের রেকর্ড ভাঙলেন এই চাহার।
এদিন চাহারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারত ৩০ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশকে। ভারতের করা ১৭৪ রানের জবাবে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৪৪ রানে। বাংলাদেশি তরুণ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নাঈম ৮১ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলেও দলের হার এড়াতে পারেননি। অন্যরা ছিলেন আসা-যাওয়ায়।
এদিনের হারে সিরিজও হেরেছে বাংলাদেশ, ২-১ ব্যবধানে। অবশ্য সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের সাত উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। শেষ দুই মাচে হেরে সিরিজ হাতছাড়া করে তারা।