তামিমের বরিশালের মাঝারি সংগ্রহ
দুই ওপেনারের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু করে ফরচুন বরিশাল। কিন্তু শুরু ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি তামিম ইকবালের দল। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে মাঝরি লক্ষ্য দিতে পারছে তারা।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ১৪৯ রান করে ফরচুন বরিশাল। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন সাইফ হাসান।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সাইফ হাসান। ওপেনিং জুটিতে দুজন মিলে তোলেন ৮৭ রান। অবশ্য শূন্য রানেই বিদায় নিতে পারতেন তামিম। মেহেদী হাসানের বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন তামিম, কভারে সেই ক্যাচ ফেলে তামিমকে জীবন উপহার দেন সৈকত।
ব্যক্তিগত ১৪ রানে আরেকবার জীবন পান তামিম। দ্বিতীয় দফায় তামিমকে বাঁচিয়ে দেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। সহজ ক্যাচ ধরেও ছেড়ে দেন তিনি। দুই দফায় জীবন পেয়ে শেষ পর্যন্ত ৪৩ রানে থামেন তামিম। ৩৯ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল পাঁচ বাউন্ডারি।
তামিমের পর আউট হয়ে ফিরেন সাইফ। ৪৬ রানের মাথায় তাঁকে এলবির ফাঁদে ফেলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ৩৩ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল ছয় বাউন্ডারি দুই ছক্কা।
দুই ওপেনারের ফেরার পর উইকেট বিলাতে থাকে বরিশাল। নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান পারভেজ হোসেন ইমন। ১৪ রানে জিয়াউর রহমানের বলে ফিরে যান তিনি। ব্যর্থ হন তৌহিদ হৃদয়। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বেশিদূর যেতে পারেনি বরিশাল। নির্ধারিত ওভারে ১৪৯ রানে থামে তামিম ইকবালের দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফরচুন বরিশাল : ২০ ওভারে ১৪৯/৬ (তামিম ৪৩, সাইফ ৪৬, পারভেজ ১৪, তৌহিদ ৪, মিরাজ ১, শুক্কুর ২, সুমন ৬, আফিফ ২৮; সৈকত ৪-০-১৬-২, নাহিদুল ৩-০-২৮-০, মেহেদী ৪-০-৩২-০, সঞ্জিত ৪-০-২২-২, রুহেল ২-০-২২-০, জিয়াউর ৩-০-২৫-২)।