গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। মাঠের চারপাশে খেললেন দৃষ্টিনন্দন সব শট। তুলে নিলেন চলতি বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে প্রথম সেঞ্চুরি। তাঁর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে ফরচুন বরিশালকে ২২১ রানের বিশাল লক্ষ্য দিল রাজশাহী।

চলমান বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়ল রাজশাহী। এটিই টুর্নামেন্টের প্রথম ২০০ ছাড়ানো ইনিংস। এর আগের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছিল ১৭৬, গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের। এ ছাড়া আজ মঙ্গলবার ওপেনিং জুটি ও যেকোনো জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়লেন নাজমুল-আনিসুল। আগের যেকোনো জুটিতে সর্বোচ্চ ছিল ১০০ রান আর ওপেনিং জুটিতে ছিল ৭৯ রান। সব ছাপিয়ে ১৩১ রানের জুটি গড়লেন আনিসুল-নাজমুল। 

নাজমুলের সেঞ্চুরির দিনে বরিশালের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। ইনিংসের শেষ ওভারে ফরহাদ রেজা, নাজমুল ও নুরুল হাসান সোহানকে ফিরিয়ে টুর্নামেন্টের প্রথম হ্যাটট্রিক তুলে নেন রাব্বি। ওই এক ওভারে মোট চারটি উইকেট নেন রাব্বি। 

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ২২০ রান করে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০৯ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মাত্র ৫৪ বলে তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল চারটি বাউন্ডারি ও ১১টি ছক্কায়।

এ দিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন আনিসুল ইসলাম ও নাজমুল। শুরুর দিকে নাজমুলের চেয়ে বেশি আগ্রাসী ছিলেন আনিসুল। ধীরে ধীরে নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে ভয়ংকর হয়ে ওঠেন নাজমুল। পাওয়ার প্লেতে দুজন মিলে তোলেন ৬৪ রান।

এরপর মাত্র ২৫ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করেন আনিসুল। তাঁর হাফসেঞ্চুরিতে ছিল ছয় বাউন্ডারি ও দুই ছক্কা। আনিসুলের হাফসেঞ্চুরি ছোঁয়ার আগ মুহূর্তে চোটে পড়েন বরিশালের বোলার আবু জায়েদ রাহি। ৮.২ ওভারে স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া তাঁকে।

গুরুত্বপূর্ণ বোলারকে হারিয়ে আরো কোণঠাসা হয়ে পড়ে বরিশাল। এর মধ্যে ৩২ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করেন নাজমুল। হাফসেঞ্চুরির পর আরো আগ্রাসী হয়ে ওঠেন রাজশাহীর অধিনায়ক। এর মধ্যে ৬৯ রানে ফিরে যান আনিসুল।

এরপর বরিশালের বোলারদের তুলোধুনো করে ৫২ বলে পৌঁছে যান তিন অঙ্কের ঘরে। ৩২ বলে হাফসেঞ্চুরি করা নাজমুল পরের ২০ বলে স্পর্শ করেন ১০০। তাঁর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে চড়ে শেষ পর্যন্ত ২২০ রানে থামে রাজশাহী।

মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী : ২০ ওভারে ২২০/৭ (নাজমুল ১০৯, আনিসুল ৬৯, রনি ১৮, মেহেদী ০, নুরুল ১২, ফরহাদ ০, সাইফউদ্দিন ৪, মুকিদুল ০, ফজলে ৬; রাব্বি ৪-০-৪৯-৪, মিরাজ ৩-০-৩৫-০, সুমন ৪-০-৪৩-২, রাহি ২.১ -০-১১-০, আফিফ ২.৫-০-৩২-০)।