নিজের সাফল্যের রহস্য জানালেন তাসকিন
ভারতের বিপক্ষে ২০১৪ সালে ওয়ানডেতে অভিষেক ম্যাচে পেয়েছিলেন ৫ উইকেট। মাঝে কেটে গেছে আটটি বছর। এতদিন পর ফের পাঁচ উইকেট পাওয়ার উচ্ছ্বাসে ভেসেছেন তাসকিন আহমেদ। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তাঁর দাপুটে বোলিংয়ের দিন বাংলাদেশও পেয়েছে ৯ উইকেটের বিশাল জয়।
এত বছর পর বল হাতে ৫ উইকেট পাওয়ার স্বাদ পাওয়া তাসকিন ইনিংস বিরতিতে জানালেন নিজের সাফল্যের রহস্য। সেই সঙ্গে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে খুশির কথাও জানালেন ডানহাতি এই পেসার।
তাসকিন বলেছেন, ‘নিজের পারফরম্যান্সে আমি খুব খুশি। আমি শুধুমাত্র নিজের প্রক্রিয়ায় স্থির থেকেছি এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছি। উইকেট থেকে বাউন্স পেয়েছি। এ জন্য নিজের লাইন ও লেন্থ ঠিক রেখেছি। নিজের প্রক্রিয়ায় এখন আমার অনেক বিশ্বাস। শেষ এক, দেড় কিংবা দুই বছর এভাবেই পরিশ্রম করে আসছি। এটাই আমার সাফল্যের রহস্য।’
প্রবাদে বলে—পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি। তাসকিনের বেলায় কথাটি পুরোপুরি সঠিক। দল থেকে যখন ছিটকে পড়েন তখন এই পরিশ্রমের মধ্যেই নিজেকে খুঁজে নেন তিনি। নিজেকে বদলে জন্ম দেন আরেক পরিণত বোলারে। তাঁর বলের গতি আর দক্ষতার সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে পরিণত ক্রিকেট-মস্তিষ্ক। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ দলের বোলিং ইউনিটের প্রাণ ভোমরা হয়ে উঠেছেন তাসকিন।
মুস্তাফিজুর রহমানকে ছাপিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়কের আস্থা এখন তামিম। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতেও দেখা গেল তাই। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৩৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট। আজ তৃতীয় ওয়ানডেতে ফের তাঁর বোলিং ঝলক। এবার নিলেন ৫ উইকেট। পাক্কা আট বছর ফের বোলিংয়ে ৫ উইকেটের দেখা পেলেন এই গতি তারকা।
২০১৪ সালে অভিষেকে ৫ উইকেটের পর আজ সেঞ্চুরিয়নে দ্বিতীয়বার পেলেন ৫ উইকেট। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ২০১২ সালের পর কোনো সফরকারী দলের বোলার হয়ে পেলেন ৫ উইকেট। সবশেষ এমন কীর্তি গড়েছিলেন শ্রীলঙ্কার হয়ে লাসিথ মালিঙ্গা। এ ছাড়া বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডেতে পাঁচ উইকেট পেলেন তাসকিন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা : ৩৭ ওভারে ১৫৪ (ডি কক ১২, মালান ৩৯, কাইল ৯, বাভুমা ২, রাসি ফন ডার ডাসেন ৪, মিলার ১৬, প্রিটোরিয়াস ২০, কেশব ২৮, রাবাদা ৪, শামছি ৩, লুঙ্গি ০; তাসকিন ৯-০-৩৫-৫, মিরাজ ৫-০-২৭-১, মুস্তাফিজ ৭-০-২৩-০, সাকিব ৯-০-২৪-২, শরিফুল ৭-০-৩৭-১)।
বাংলাদেশ : ২৬.৩ ওভারে ১৫৬/১ (তামিম ৮৭*, লিটন ৪৮, সাকিব ১৮*; রাবাদা ৫.৩-০-৩৭-০, লুঙ্গি ৫-০-২৪-৫, শামছি ৭-০-৪১-০, কেশব ৭-০-৩৬-১, প্রিটোরিয়াস ২-০-১৮-০)।
ফল : বাংলাদেশ ৯ উইকেটে জয়ী।