ফের প্রতারণার অভিযোগ, বিস্মিত স্মিথ
সিডনি টেস্ট শেষ হওয়ার পরপরই আলোচনায় এসেছে অস্ট্রেলিয়ার তারকা ক্রিকেটার স্টিভেন স্মিথের নাম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে স্মিথের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন অনেকে। তবে স্মিথের দাবি, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। এমন অভিযোগে বিস্মিত এই অসি তারকা।
সিডনি টেস্টের শেষ দিন ঘটনাটি ঘটে। প্রথম সেশনের চা বিরতির পর খেলা শুরু হওয়ার আগে স্টাম্পের মাইকের ভিডিওতে দেখা যায়, স্মিথ শ্যাডো প্র্যাকটিস করতে করতে হঠাৎ পন্থের ক্রিজের ব্যাটিং গার্ড পা দিয়ে ঘষে দিচ্ছেন।
এরপর ক্রিজে এসে বিষয়টি চোখে পড়ে ঋষভ পন্থের। তখন তিনি ব্যাট করার আগে আম্পায়ারের কাছে নতুন গার্ড চেয়ে নেন। এই মুহূর্তটি অস্ট্রেলিয়ার সম্প্রচারকারী চ্যানেলে দেখানো হয়নি। পরে খেলার রিপ্লেতে দেখানো হচ্ছিল। মুহূর্তের মধ্য ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই স্মিথকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
টেস্টের একদিন পরই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন স্মিথ। হিন্দুসস্থান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিউজ ক্রপকে স্মিথ বলেন, ‘যেভাবে অভিযোগ উঠেছে এবং আমাকে টার্গেট করা হচ্ছে তাতে আমি রীতিমত বিস্মিত। আমি যেকোনো ম্যাচেই এরকম (শ্যাডো ব্যাটিং) করে বোঝার চেষ্টা করি কীভাবে আমাদের বোলাররা বল করছে, প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানই বা তাঁদের কীভাবে সামলাচ্ছে। তারপরেই আমার অভ্যাস রয়েছে ক্রিজের সেন্টারে মার্ক করা। এটা সত্যি লজ্জার যে ভারতের দুর্ধর্ষ ব্যাটিং পারফরম্যান্সের বদলে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।’
টুইটারে ভিডিওটি পোস্ট করে সমালোচনা করেছেন সাবেক ভারতীয় তারকা বীরেন্দ্র শেবাগ। এ ছাড়া সমালোচনা করেছেন ইংল্যান্ড তারকা মাইকেল ভন, ড্যারেন গফসহ আরো সাবেক তারকারা।
যদিও সংবাদ সম্মেলনে এসে অসি অধিনায়ক টিম পেইন সতীর্থ স্মিথের পক্ষে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, স্মিথ শ্যাডো অনুশীলন করছিলেন। কোনোভাবেই পন্থের ব্যাটিং গার্ড পরিবর্তন করা উদ্দেশ্য ছিল না স্মিথের।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিংয়ের জন্য ক্রিকেট থেকে এক বছর নিষিদ্ধ হন স্মিথ। হারিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বও।