বিসিবির কাছে দোষ স্বীকার করেছেন মিরাজ
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলমান আসরের মাঝপথে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে বিতর্কের জন্ম দেয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। হুট করে তাঁকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয় দলটি। এর জন্য অভিমান করে দল ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তরুণ এই অলরাউন্ডার। নানা ঘটনা প্রবাহে শেষ পর্যন্ত বিষয়টি গড়ায় গভর্নিং কাউন্সিল ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড পর্যন্ত।
মিরাজ ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স দুই পক্ষকে শুনানির জন্য ডেকেছে বিসিবি। শুনানিতে দুই পক্ষই নিজেদের দোষ স্বীকার করে নিয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ও মিরাজের ভুল বোঝাবোঝি মিটিয়ে দুই পক্ষকেই সতর্ক করেছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন মেহেদী মিরাজ। চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে ছিলেন দলটির মালিক কে এম রিফাতুজ্জামান ও চিফ অপারেটিং অফিসার ইয়াসির আলম। বিসিবি থেকে উপস্থিত ছিলেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক, বিসিবি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, বিসিবির দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত মেজর আবু মোহাম্মদ হুমায়ুন মোর্শেদ ও বিপিএল টুর্নামেন্ট ইনচার্জ সাইফুল আমিন।
দুই পক্ষের শুনানি শেষে এক বিবৃতিতে ব্যাপারটি জানায় বিসিবি। দুই পক্ষ দোষ স্বীকার করায় সন্তুষ্টির কথা জানান বিসিবির পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক।
এ ব্যাপারে ইসমাইল হায়দার বলেন, ‘মিরাজ ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি আমরা। দুই পক্ষই স্বীকার করেছেন, তারা পেশাদার আচরণ করেনি। পুরো বিষয়টি যোগাযোগের ঘাটতির কারণে এতোদূর গড়িয়েছে। অথচ বিষয়টি খুব সহজেই মীমাংসা হতে পারত। তারা বিষয়টি এতোদূর পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি বোর্ড এবং টুর্নামেন্টকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার দায় স্বীকার করেছেন।’
বিসিবির এই পরিচালক আরো বলেন, ‘খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পর গভর্নিং কাউসিল সন্তুষ্ট। এটি পুরোপুরি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অভ্যন্তরীণ সমস্যা ছিল, যা সমাধান হয়ে গেছে। মিরাজকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়েই ভুল বোঝাবুঝি হয়। তারা ম্যাচের বেশ আগেই মিরাজকে অধিনায়কত্ব থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছিল। এই মুহূর্তে বোর্ড খেলোয়াড় এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তাদের বিপিএলের প্রতি তাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দিয়েছে।’