ব্যাট হাতে অবদান রাখতে চান তাইজুল-শরিফুলরা
একটি দল তখনই দল হয়ে ওঠে, যখন মাঠের খেলায় নামার আগে সার্বিকভাবে নিজেদের প্রস্তুত করেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখন সেই পথেই হাঁটছে। মাঠের ক্রিকেটের পাশাপাশি মাঠের বাইরেও বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা উন্নতি করছেন একটু একটু করে। মানসিকতায় আসছে ইতিবাচক পরিবর্তন।
একটা সময় বাংলাদেশের ক্রিকেটে ব্যাট হাতে ভরসা বলতে ছিলেন হাতেগোনা কয়েকজন, যারা ব্যর্থ হলে দলের ব্যর্থ হওয়া ছিল অবধারিত। সেখান থেকে বের হয়ে এসেছে বাংলাদেশ। এখন তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমরা ছন্দে না থাকলেও খুব বেশি চিন্তা থাকে না। অন্যরা দায়িত্ব নিতে শিখছে। এমনকি টেলএন্ডাররা পর্যন্ত চেষ্টা করছেন শেষ দিকে ব্যাট হাতে সম্ভাব্য সেরাটা দিয়ে দলে ভূমিকা রাখতে।
লোয়ার অর্ডারের ব্যাটাররা সব সময় ব্যাট করার সুযোগ পায় না। পেলেও নিজেদের মেলে ধরতে পারেন খুব কমই। অথচ শেষ দিকে তাদের সামান্য ইনিংসটুকুও দলের জন্য হতে পারে ভীষণ কার্যকরী। বাংলাদেশের লোয়ার অর্ডারে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ছিলেন ভরসার আরেক নাম। দলের প্রয়োজনে দাঁড়িয়ে যেতেন ব্যাট হাতে। সম্প্রতি তাসকিন আহমেদও চেষ্টা করছেন পূর্বসূরির দেখানো পথে হেঁটে ব্যাট হাতেও অবদান রাখতে।
আগে মাশরাফী, এখন তাসকিনদের দেখে তরুণরা উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। ব্যাট হাতে অবদান রাখতে অনুশীলন করছেন তারা। পেসার শরিফুল ইসলাম যেমন গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ মে) বলছিলেন, ‘এখন সব দেশের টেলএন্ডাররা ভালো ব্যাটিং করে। আমরাও চেষ্টা করছি। তাসকিনকে দেখে আমরা নেটে প্রতিদিন অনুশীলন করছি। যদি ১০ থেকে ১৫ রানও করতে পারি, দলের জন্য উপকার হবে।’
স্পিনার তাইজুল ইসলাম শেষ দিকে প্রায়ই চেষ্টা করেন কিছু রান যোগ করতে। কখনও আবার ক্রিজে টিকে থেকে অন্য প্রান্তের স্বীকৃত ব্যাটারকে সুযোগ করে দেন নির্ভার হয়ে খেলার। সেই তাইজুলও তাল মেলালেন শরিফুলের সুরে। নিজের ব্যাটিংটা উপভোগ করেন জানিয়ে গতকাল এক ভিডিও বার্তায় তাইজুল বলেন, ‘আমার ব্যাটিংটা আমি সব সময় উপভোগ করি। ভালো করতে চেষ্টা করি। যতটুকু করলে দলকে একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়। চেষ্টা করি দলকে ব্যাট হাতে ভালো কিছু দেওয়ার জন্য।’
টেলএন্ডারদের মানসিকতার এমন পরিবর্তনই প্রয়োজন চলতি বছরের অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপে। এতে উপরের ব্যাটাররা খেলতে পারবে নির্ভার হয়ে, আর টেলএন্ডাররা এনে দিতে পারবে বাড়তি সংগ্রহ।