‘মুস্তাফিজকে টেস্ট খেলতে বাধ্য করা উচিত নয়’
বাংলাদেশ দলের নতুন টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছেন, মুস্তাফিজুর রহমানকে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে বাধ্য করা উচিত নয়। তিনি যে সিদ্ধান্ত নেন তা সম্মান করা উচিত বলে মনে করেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।
আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আসন্ন দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে মুস্তাফিজকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মুস্তাফিজ শেষ লাল বলের ক্রিকেট খেলেছিলেন ২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে হোম সিরিজ। এই সিরিজে টেস্ট খেলতে অনিচ্ছুক ছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত করার জন্য ফরম্যাট বাছাই করে খেলার ওপর জোর দিয়েছিলেন কাটার-মাস্টার।
২৬ বছর বয়সী এই তারকা এ বছর টেস্ট দলের জন্য চুক্তিবদ্ধ ছিলেন না। বিসিবি তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করার জন্য একটি চিঠি দেওয়ার পর আবার টেস্ট খেলতে রাজি হন বাঁহাতি এই পেসার।
অ্যান্টিগা টেস্টের আগে সাকিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনুপ্রেরণা দেওয়ার কিছু নেই। কারণ মুস্তাফিজুর যদি পছন্দ করেন তিনি ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি খেলতে চান, তাহলে আমি মনে করি আমাদের সেটাকে সম্মান করা উচিত। যেহেতু সে সিরিজে আছে, আমি নিশ্চিত সে এই দুটি ম্যাচ খেলতে অনুপ্রাণিত হবে, এটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একজন অধিনায়ক হিসেবে আমি এই দুটি ম্যাচে খুবই মনোযোগী। এই দুটি ম্যাচ খেলতে তাকে খুব অনুপ্রাণিত মনে হয়েছে।’
বাংলাদেশ অধিনায়ক আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত নই, সে দীর্ঘমেয়াদে টেস্ট খেলতে চায় কি না। তবে আমি মনে করি প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ, কমফোর্ট জোনের মতো কিছু আছে। আমাদের অবশ্যই সেটাকে সম্মান করতে হবে।’
সাকিব গত মাসে বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হন। ব্যাট হাতে খারাপ ফর্মের কারণে মুমিনুল হক পদত্যাগ করার পর এই দায়িত্ব পান তিনি। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আগে দুই দফায় দায়িত্বে ছিলেন। সে সময় তাঁর অধীনে খেলা ১৪ ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে জয় এবং ১১টিতে হেরেছে বাংলাদেশ।
২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশের শেষ সফরেও সাকিব অধিনায়ক ছিলেন। সেই সময় অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম ইনিংসে সর্বনিম্ন ৪৩ রানে আউট হয়েছিল বাংলাদেশ। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার আশা করছেন এবার অন্যরকম কিছু হবে। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন উইকেট। কারণ এটি চার বছর আগের রেকর্ড সেটি। তবে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করা কঠিন হবে, কারণ তখন স্পিনাররা খেলতে আসবেন। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমরা কীভাবে ব্যাটিং করি।’
‘আগে ব্যাট করা বা প্রথমে বোলিং করা কোনো পার্থক্য করবে না এখনই বলা মুশকিল। আমাদের সবকিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, আমি মনে করি ছেলেরা চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত।’
এই টেস্টে ভালো করার আশায় সাকিব বলেন, ‘আমরা সম্প্রতি টেস্ট ক্রিকেটে ভালো খেলিনি, কিন্তু এটি এমন একটি সুযোগ যা আমরা সবাইকে ভুল প্রমাণ করতে পারি, আমরা সত্যিই ভালো করতে পারি। আমরা যদি এই টেস্টে ভালো করি তবে খুব ভালো শুরু হবে। পুরো সিরিজের জন্য ভালো হবে।’