ফাইনালে হেরে রেফারিকে দুষলেন ক্রোয়েশিয়ার কোচ
বিশ্বকাপে এসেই তাক লাগিয়ে দিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। ধাপে ধাপে সব বাধা পেরিয়ে তারা উঠেছিল ফাইনালের মঞ্চে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ফাইনালের মঞ্চে ফ্রান্সের কাছে ৪-২ গোলে হেরে প্রথম শিরোপা জয়ের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হয় ক্রোয়েটরা। এমন শোচনীয় পরাজয়ের দায়ভার কিছুটা রেফারির ওপর দিলেন ক্রোয়েশিয়ার কোচ জ্লাতকো দালিচ।
১৯৯৮ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে এসেই চমক দেখিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। উঠেছিল সেমিফাইনালে।এরপর টানা চারটি বিশ্বকাপে হতাশ করেছে ক্রোয়েশিয়া। তিনবার গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে, আর একবার তো মূল পর্বে খেলার সুযোগই পায়নি তারা। দীর্ঘদিন পর আবার তারা বিশ্বকাপে খেলতে এসেছিল তাদের সোনালি প্রজন্ম নিয়ে। কোচ প্রত্যাশা করেছিলেন ছেলেরা এবার শিরোপা জয় করেই ঘরে ফিরবে। কিন্তু স্বপ্ন পূরণ হয়নি। যদিও বিশ্ববাসীর মন জয় করে নিয়েছে ক্রোয়েশিয়া, তবে শিরোপার স্বাদ অপূর্ণই থেকে যায় তাদের।
ম্যাচের পুরো সময়জুড়েই আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে ক্রোয়েশিয়া। ফ্রান্সের অ্যাটাকের বিপক্ষে তারা যে পারফর্ম দেখিয়েছে, নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। তবে ম্যাচে হেরে বেশ বিমর্ষ কোচ দালিচ। তিনি মনে করেন, এমন বড় ব্যবধানে পরাজয়ে রেফারির ভূমিকাও রয়েছে। ক্রোয়াটদের জালে ফরাসিদের চারবার বল ঢুকলেও দুটি গোলই ছিল বিতর্কিত। এই দুই গোলের দায়ভার সরাসরি রেফারির ওপরই দিচ্ছেন দালিচ।
পেরেসিচের হাতে অনিচ্ছাকৃত বল লাগলে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সহায়তায় পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নেন আর্জেন্টাইন রেফারি নিস্তোর পিতারা। এই পেনাল্টি নিয়ে কথা বলেছেন ক্রোয়েশিয়ার কোচ। তিনি বলেন, ‘শুরুতেই ফ্রান্সকে শিরোপা জয়ের জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা ভালো খেলেছি। শুরুর দিকে আমরাই মাঠে ছিলাম। একটা আত্মঘাতী গোল খেলাম। তারপরও আমরা খেলায় ফিরে আসলাম। কিন্তু রেফারি পেনাল্টি দিয়ে দিল।’
এই কোচ আরো বলেন, ‘আমি রেফারিকে নিয়ে কথা বলতে চাই না। এটা আমার সাথে যায় না। আমি শুধু একটা বাক্যেই শেষ করব। বিশ্বকাপের ফাইনালের মঞ্চে আপনি এমন পেনাল্টি দিতে পারেন না।’