আশরাফুলের সামনে দারুণ সুযোগ

ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়ানোয় পাঁচ বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ ছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ২০১৩ সালের ১৩ আগস্টে শুরু হওয়া সেই শাস্তির মেয়াদ শেষ হয় এ বছরের ১৩ আগস্টে। তবে এই পাঁচ বছর পরিশ্রম করে নিজের ফিটনেস ধরে রেখেছেন আশরাফুল। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর সবচেয়ে বড় সুসংবাদ- বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) হাই পারফরমেন্স দলে স্থান পেয়েছেন তিনি।
গত ১২ সেপ্টেম্বর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিপ টেস্টে অংশগ্রহণ করেন মোহাম্মদ আশরাফুল এবং ঢাকা মহানগরের অন্যান্য ক্রিকেটাররা। ফিটনেস ক্যাম্পে ২০ মিটারের শাটল রানিংয়ের মাধ্যমে নির্ণয় করা হয় ক্রিকেটারদের ‘বিপ টেস্টের’ ফলাফল। এতে সবচেয়ে ভালো করেছেন পেসার রকিবুল, পেয়েছেন ১২.৪। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ১১.৪ পয়েন্ট পেয়েছেন তিনি। পাঁচ বছর ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ থাকা একজন খেলোয়াড়ের পক্ষে এমন ফিটনেস অর্জন করা ঈর্ষণীয় বটে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিটনেসের মান আশরাফুলের মানের কাছাকাছি। শুধু তাই নয়, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও করেছেন মূল্যবান পাঁচটি সেঞ্চুরি। ফলে নির্বাচকদের আস্থা অর্জনে আরেক ধাপ এগিয়েছেন আশরাফুল। স্থান করে নিয়েছেন হাই পারফরমেন্স দলে। এই দলের মোট ২৬ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে আরো স্থান পেয়েছেন ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, কাজী নূরুল হাসান সোহান, তাইজুল ইসলাম, মার্শাল আইয়ুব, আল-আমিন হোসেন, আবু যায়েদ চৌধুরী রাহী, তাসকিন আহমেদ, সানজামুল ইসলামসহ আরো অনেকে। ২৬ জনকে দুটি দলে ভাগ করে চারদিনের একটি প্রথম শ্রেণির সমমর্যাদার ম্যাচে তাঁদের মাঠে নামাবে বিসিবি। এতে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে খেলবেন আশরাফুল। আগামী ১৯ তারিখ খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে এই ম্যাচ শুরু হবে।
বাংলাদেশ দলে আশরাফুলের জন্য এই মুহূর্তে কোনো জায়গা নেই বলে মন্তব্য করেছিলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। তবে এখনো বাংলাদেশের হয়ে কমপক্ষে আরো ১০ বছর খেলার স্বপ্ন দেখেন আশরাফুল। তিনি সেই স্বপ্নের পথে আরেকটি সুযোগ পেলেন নিজেকে প্রমাণ করার জন্য। আশরাফুলকে আবারও লাল-সবুজের জার্সিতে দেখার অপেক্ষায় রয়েছে ভক্তরা। সেই অপেক্ষা ঘোচাতে নিজেকে উজাড় করে খেলতে হবে আশরাফুলকে।