অনন্য রেকর্ডটা আজই গড়বেন সাকিব?

ত্রিদেশীয় সিরিজে আজ আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিজের ১৯৮তম ম্যাচে আজ মাঠে নামবেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তবে আইরিশদের বিপক্ষে ম্যাচটাকে মাঠে নামার সংখ্যার কারণে নয়, অসাধারণ এক রেকর্ডের হাতছানির কারণে আলাদা করে মনে রাখবেন সাকিব। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এর আগে ১৯৭ ম্যাচে ব্যাট হাতে ৫,৬৬৭ রান করেছেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। আর চৌকস স্পিন বোলিংয়ে নিয়েছেন ২৪৯ উইকেট। আজ মাত্র একটি উইকেট নিতে পারলেই আড়াইশ উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়া হবে তাঁর। আর এর সঙ্গে সঙ্গেই ওয়ানডে ইতিহাসে অলরাউন্ডারদের মধ্যে দ্রুততম সময়ে ৫,০০০ রান ও আড়াইশ উইকেটের ডাবল স্পর্শ করে ফেলবেন সাকিব।
ওয়ানডে ক্রিকেটে এর আগে শ্রীলঙ্কার সনাথ জয়াসুরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস এবং দুই পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শহিদ আফ্রিদি ও আবদুল রাজ্জাক কমপক্ষে ৫,০০০ রান ও ২৫০ উইকেট নেওয়ার এই কীর্তি গড়তে পেরেছেন। তাঁদের মধ্যে সবার আগে নিজের ২৫৯তম এই ডাবল অর্জন করেছেন পাকিস্তানের আবদুল রাজ্জাক। ২৬৫তম ম্যাচে এই কীর্তি ছুঁয়েছেন শহিদ আফ্রিদি। আর রানের দিক থেকে ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেলেও ২৫০ উইকেটের কীর্তি গড়তে যথাক্রমে ২৭৮ ও ৩৪৩ ম্যাচ খেলতে হয়েছে জ্যাক ক্যালিস ও সনাথ জয়াসুরিয়ার। তাই আজ একটি উইকেট পেলেই তাঁদের সবাইকে ছাড়িয়ে মাত্র ১৯৮ ম্যাচে রেকর্ডটা হয়ে যাবে সাকিব আল হাসানের।
২০০৬ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় সাকিবের। এরপর ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই সাফল্য এসে ধরা দিয়েছে তাঁর হাতে। বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে তিন ফরম্যাটেই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হন সাকিব। এক যুগের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট এই তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এখনো টাইগারদের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলপতি তিনিই। ১৯৭ ওয়ানডে ম্যাচের ১৮৫ ইনিংসে সাতটি সেঞ্চুরি ও ৪১টি অর্ধশতকসহ ৫,৬৬৭ রান করেছেন সাকিব। তাঁর ব্যাটিং গড় ৩৫.৪১, সর্বোচ্চ স্কোর অপরাজিত ১৩৪।
অন্যদিকে, বল হাতে ২৪৯ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। তাঁর বোলিং গড় ২৯.৬৯। ম্যাচে আটবার চার উইকেট ও একবার পাঁচ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। ৪৭ রানে পাঁচ উইকেট শিকার তাঁর সেরা ওয়ানডে বোলিং ফিগার।