২০৫ রানেই শেষ বাংলাদেশ
দ্বিতীয় দিনের বিপর্যয়ের পরও ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। ১৪৮ রানে পিছিয়ে থেকে আজ শনিবার তৃতীয় দিন শুরু করে বাংলাদেশ। লক্ষ্য ছিল, অন্তত এক সেশন টিকে থেকে ব্যবধান কমানো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হলো না। আজ শনিবার ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২০ মিনিটও টিকলো না বাংলাদেশের ইনিংস। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে ২০৫ রানেই গুটিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশকে অলআউট করে ১৩৭ রানের বড় লিড পেল আফগানিস্তান। বড় লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছে রশিদ খানের দল।
প্রথম ইনিংসে ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৯৪ রান নিয়ে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক হোসেন, সঙ্গী ১৪ রানে তাইজুল ইসলাম।
তৃতীয় দিন ব্যবধান কমাতে নেমে প্রথম ওভারেই ধাক্কা খেল বাংলাদেশ। ওভারের তিন নম্বর বলে বাজে শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হন তাইজুল ইসলাম। এরপর নাঈমকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ইনিংসে পাঁচ উইকেট তুলে নেন রশিদ খান। ইনিংস শেষে ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন মোসাদ্দে হোসেন।
তিন উইকেট নেন মোহাম্মদ নবি। সমান একটি করে উইকেট নেন কায়েস আহমেদ ও ইয়ামিন।
প্রথম ইনিংসের আফগানিস্তানের ৩৪২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে বেশ বিবর্ণ ছিল বাংলাদেশ। আউট হওয়া প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের স্কোর যথাক্রমে ০, ১৭, ৩৩, ১১ ,০, ৬ । বাজে শটে ইনিংসের প্রথম ওভারেই বিদায় নেন সাদমান। ইনিংস বড় করতে পারলেন না সৌম্যও। ৬৬ বল মোকাবিলা করে ১৭ রান নিয়ে ফিরে গেলেন মোহাম্মদ নবির বলে। ৩৩ রান করা লিটনকে নিজের প্রথম শিকার বানান রশিদ। এরপর আফগান অধিনায়কের বলে কাটা পড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব। এলবির ফাঁদে ফেলে বাংলাদেশ অধিনায়ককে ১১ রানে মাঠ ছাড়া করেন রশিদ। একই ওভারের শেষ বলে মুশফিককেও সাজঘরের পথ দেখান তিনি। এরপর মাহমুদউল্লাহকেও ৭ রানে বোল্ড করেন। ১০৪ রানে ৬ উইকেট হারানোর বাংলাদেশের চারটিই নেন রশিদ।
বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মোসাদ্দেক ছাড়া রানের দেখা পান মুমিনুল হক। হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ৫২ রানে বিদায়ে নেন তিনি। মূল ব্যাটসম্যানদের হারিয়ে বেশিদূর যেতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষের দিকে মোসাদ্দেকের ব্যাটে চড়ে ১৯৪ রানে দিন শেষ করতে পারে স্বাগতিকরা।