উপমহাদেশের কন্ডিশনে ভালো করতে মুখিয়ে প্রোটিয়ারা

নিজেদের কন্ডিশনে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে খাবি খাওয়ালেও উপমহাদেশে এখনও নিজেদের প্রমাণ করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। নানা সময়ে সফর করলেও সেভাবে জয়ের দেখা পায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই ধারা ভাঙতে মরিয়া সফরকারীরা।
এই বিষয়ে দলটির বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজ বলেন, ‘আমরা জানি বাংলাদেশ ঘরের মাঠে খুব ভালো দল। তবে আমরাও দেশের বাইরে বিশেষ করে উপমহাদেশের কন্ডিশনে জিততে না পারার ধারা ভাঙতে চাই। ছেলেরা এই কন্ডিশনের সঙ্গে মানাতে সুনির্দিষ্ট প্রস্তুতি নিচ্ছে। সম্ভাব্য যে কন্ডিশন সামলাবো সেটার উপায় খুঁজে বের করতে কাজ করছে সবাই।'
মহারাজ আরও যোগ করেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ থেকে আমরা কিছু আত্মবিশ্বাস নিয়েছে। বাংলাদেশে আসার আগে একটা দারুণ ক্যাম্প করেছি আমরা। এখানে এসেও দুদিন খুব ভালো সেশন পার করেছি, আরও দুইটা সেশন পাব টেস্টে নামার আগে। আমার মনে হয় ছেলেরা মাঠে নামতে রোমাঞ্চিত। আমি উপহামহাদেশের কন্ডিশনে ভালো করতে মুখিয়ে আছি। আমি আমার প্রক্রিয়ার উপর আস্থা রাখছি। কোচদের সঙ্গে কৌশল নিয়ে আলাপ করছি। কোন লাইন ও লেন্থে বল করলে এখানে সাফল্য মিলবে এটা খোঁজার চেষ্টা করছি। আশা করছি সমস্ত তথ্য মাঠে বাস্তবায়ন করতে পারব ও সাফল্য পাব।'
এই সফর দিয়ে ৯ বছর পর বাংলাদেশে এলো দক্ষিণ আফ্রিকা দল। সবশেষ ২০১৫ সালের জুলাইয়ে দুটি টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে গেছে তারা। এবার শুধুই দুই টেস্টের সফর। বাভুমা চোট পাওয়ায় টেস্ট দলে যুক্ত করা হয়েছে ডেওয়াল্ড ব্রেভিসকে। এছাড়াও প্রথমে ঘোষিত স্কোয়াড থেকে সফর শুরুর আগেই ছিটকে গেছেন নান্দ্রে বার্গার। বাঁহাতি এই পেসারের জায়গায় ফেরানো হয়েছে লুঙ্গি এনগিডিকে।