ব্যাটিংয়ে পুরোনো হতাশার গল্প লিখে অলআউট বাংলাদেশ

ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ দলের সমস্যা বহু পুরোনো। ধারাবাহিকভাবে ‘অধারাবাহিক’ ব্যাটাররা। একজন উইকেট বিলিয়ে দিলে শুরু হয় আসা-যাওয়ার মিছিল। সিলেট টেস্টের চতুর্থ দিন সকালেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। আগের দিনের সেট ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্তকে দিয়ে শুরু। দ্রুতই ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে যায় বাংলাদেশ। যেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ৭ রানে শেষ ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ৭৯.২ ওভারে ২৫৫ রানে। বাংলাদেশের লিড ১৭৩ রান। ম্যাচ জিততে সফরকারী জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ১৭৪ রান।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বৃষ্টি আর আলোকস্বল্পতায় আগের দিন ঠিকমতো খেলা হয়নি। আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকালেও দেরি হয়েছে খেলা মাঠে গড়াতে। কিন্তু, শুরুর পরই খেই হারিয়েছে বাংলাদেশ। মুখোমুখি হওয়া দ্বিতীয় বলে সাজঘরের পথ ধরেন অধিনায়ক শান্ত। ৬০ রানে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে বিদায় নেন তিনি। টিকতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজও। ১১ রানে মুজারাবানির আরেকটি শিকারে পরিণত হন মিরাজ। ১ রান করা তাইজুল ইসলামকে ফিরিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে ভয় ধরিয়ে দেন রিচার্ড এনগারাভা।
এরপর জাকের আলী অনিক ও হাসান মাহমুদ মিলে বাড়িয়েছেন লিড। টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে নিয়েছেন জাকের। তবে, দারুণ সঙ্গ দেওয়া হাসান বিদায় নেন ৫৮ বলে ১২ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস খেলে। হাসানের বিদায়ে আবারও শুরু হয় আসা যাওয়ার মিছিল।
৪ উইকেটে ১৯৪ রানে দিন শুরু করা বাংলাদেশ ২১৩ রানে হারায় সপ্তম উইকেট। মাত্র ১৯ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারালে তৈরি হয় দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা। সেখান থেকে একটু একটু করে দলকে টেনে নিয়েছেন জাকের আলী। অন্যদের কাছ থেকে সেই অনুযায়ী সাহায্য পাননি তিনি। তবু, লড়ে গেছেন নিজের মতো করে। তার ৫৮ রানের ইনিংসটি দলীয় সংগ্রহ ২৫০ পার করিয়েছে।
বাংলাদেশের ব্যাটিংকে একাই ধসিয়ে দিয়েছে ব্লেসিং মুজারাবানি। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭২ রানে ৬ উইকেট শিকার করেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস : ৭৯.২ ওভারে ২৫৫/১০ (সাদমান ৪, জয় ৩৩, মুমিনুল ৪৭, শান্ত ৬০, মুশফিক ৪, জাকের ৫৮, মিরাজ ১১, তাইজুল ১, হাসান ১২, খালেদ ০, নাহিদ ০*; নায়ুচি ১৮-৪-৪২-১, মুজারাবানি ২০.২-৫-৭২-৬, এনগারাভা ১৯-০-৭৪-১, মাদেভিরে ৮-১-৩২-০, মাসাকাদজা ১৪-৪-২০-২