সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার রুখতে বাফুফের আইনি নোটিশ
আগামী ৩ অক্টোবর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাফুফের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচারে সরব ফুটবল ভক্তরা। এসব অপপ্রচারের মাধ্যমে যারা মিথ্যা, কুরুচিপূর্ণ, উদ্দেশ্য প্রণোদিত, মানহানিকর, আক্রমণাত্মক, অপমানজনক পোস্ট, বিবৃতি ও ভিডিওবার্তা প্রদান করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) হেয় করার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ দিয়েছে বাফুফে।
বাফুফের পক্ষ থেকে এই আইনি নোটিশ জারি করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট এম এই. তানভীর। ইউটিউব, ফেসবুক আইডি, গ্রুপ, পেইজ ও ওয়েবসাইট ব্যবহার করে যারা অপপ্রচার চালাবে তারা এই নোটিশের আওতাধীন হবে।
আইনি নোটিশে যা বলা হয়েছে :
‘গত ৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে ‘বাফুফে নির্বাচন-২০২০’ শিরোনামে একটি পোস্ট প্রকাশ হওয়ার পর মন্তব্যের ঘরে কিছু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী কুরুচিপূর্ণ, অসৌজন্যমূলক, উদ্দেশ্য প্রণোদিত, মানহানিকর, আক্রমণাত্মক ও ভিত্তিহীন মন্তব্য করেছেন।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর হতে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা বিভিন্নভাবে ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করে, ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে বাফুফের নাম, লোগো, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ছবি, ভিডিও ফুটেজ অনুমতিব্যতীত যত্রতত্র ব্যবহার করে বাফুফের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ, উদ্দেশ্য প্রণোদিত, অসৌজন্যমূলক, মানহানিকর, আক্রমণাত্মক, ভিত্তিহীন মন্তব্যসহ ফেসবুক লাইভ, আন্দোলন, মানববন্ধন, অনশন, বিভিন্ন কর্মসূচির নামে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা বাফুফের নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না হয়েও নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। ফিফার অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজেও একই ধরনের মন্তব্য করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে হেয় করেছেন।
যেহেতু বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এর কার্যক্রম জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিস্তৃত তাই দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য দেশ ও আন্তর্জাতিকভাবে এর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করে। যা সংক্রিয়ভাবে রাষ্ট্রের ওপর বর্তায়। তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের এই আইনগত বিজ্ঞপ্তি দ্বারা জানানো যাচ্ছে যে, দায়িত্বশীল হয়ে গঠনমূলক, সৌজন্যমূলক ও উপদেশমূলক মন্তব্য করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।’
আরো বলা হয়, ‘এ নোটিশ প্রদানের পর থেকে উল্লিখিত কর্মকাণ্ড থেকে বিরত না থাকলে তার/তাদের বিরদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ অনুযায়ী ও বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এই আইনি নোটিশের অনুলিপি মহাপুলিশ পরিদর্শক, পুলিশ কমিশনার, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, ঢাকা জেলা প্রশাসক, র্যাবের মহাপরিচালক ও ঢাকা মেট্রোপুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনকে (সিটিটিসি) পাঠানো করা হয়েছে।