গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত, নিহত আরও ৩২

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বর্বর ইসরায়েলি হামলায় একদিনে কমপক্ষে ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এসব হামলায় আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫১ হাজার ২৬০ ছাড়িয়ে গেছে। খবর আল-জাজিরার।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে এবং গাজা শহরের আল ডোরা পেডিয়াট্রিক শিশু হাসপাতালে আক্রমণ করেছে। এছাড়া গতকাল মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) উপত্যকা জুড়ে কমপক্ষে ৩২ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বর্বর ইসরায়েল।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি আক্রমণে আহত হওয়া ৬০ জনের বেশি মানুষকে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ৯৯১ জনে পৌঁছেছে।
দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দু’মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় গত সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও চার হাজার ৯৫০ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
এছাড়া, গাজায় সংঘটিত গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) একটি মামলার সম্মুখীন।