তানিম কবিরের তিনটি কবিতা

পালিয়ে যাবার বাস
কোথাও তো সেই পালিয়ে যাব আবার
কিনতে হবে নতুন জামাকাপড়
অন্যকারও বাসায় বসে রবো
ফের পুনরায় অন্যকারও হব
একটা হাসি ঝুলবে মলিন গালে
একটা হাঁটার ভঙ্গি একই থাকবে
পালিয়ে গিয়ে কোথাও আবার ঠিকই
পালব নতুন জীবন যাপন জাগন
সারাটি দিন ধরে একটি দিনের
সকল দৃশ্যে পুনর্ব্যক্ত হব
রাত্রি হলেই এই দুনিয়ার তরে
কাউকেসহ শোবার ঘরে যাব
হায় রে সে ঘর বারান্দা তার বাতাস
হায় রে সে কোন মদনচোদন থাকা!
পালিয়ে যাব নতুন জুতা পরে
ঘ্যার্ঘ্যারাবে বিবর্তনের চাকা
পাল্টে যাবে অফিস ফেরত রাস্তা
পাল্টাবে সব মধ্যবর্তী স্টপেজ
খুব সকালের পাল্টে যাওয়া নাস্তা
গিলেই রঙিন পালিয়ে যাবার বাসটা
ধরতে হবে নয়তো ভালো হয়ে—
থাকতে হবে, সেইটা কি আর পারব!
(মনে তো হয় না)
সাগুর পায়েস
মানুষ হিসেবে আমি
সাগুর পায়েস খেতে চাই
সাদা চাদরের ’পরে
শুতে চাই নিরাময়হীন
সবচেয়ে অসুস্থ
হতে চাই সবার আগে
রূপার বাটিতে নেড়ে
সোনার চামচ;
সাগুর পায়েস আমি
খেতে চাই ক্লিনিকে বসে
দুপুরকার ভৈরবের বর্ণনা বর্ণনা
এখন দুপুর ভৈরবেও
লোকাল টাইম যা বাজে
লোকাল টাইম তা বাজে
লোকাল ট্রেন ঘুরতেছে
ভৈরবের আশপাশে
মেঘনাব্রিজ লালবিশেষ
লৌহবান, রোদ চোষে
পিলারদ্বয় দেখতে পায়
একটা লাশ যায় ভেসে
জিন্স পরা যুবক লাশ
ফুলহাতার শার্টটা তার
এক কালার ফিনফিনে
নদীর পার কারখানার
ড্রেন এসে উগরে তার
ভেতরকার যন্ত্রণার
ঘূর্ণিজল ঘূর্ণিপাক
কেন্দ্রে তার ঝিলমিলায়
রৌদ্রতেজ রৌদ্রঝাঁজ
জুম্মাবার ইস্টিমার
ছাদভরা দুই রাকাত
নামাজ শেষ হয় তাদের
ভাত বসায় গরিব লোক
দুই পাথর, মধ্যে তার
চ্যাপ্টা এক হাড়ির পেট
বুদবুদায় বুদবুদায়