দিব্যেন্দু শেখর দাসের কবিতা
নির্বাসন
জীবন্ত কঙ্কালে মেলে দিচ্ছি ডানা
জানি অনেকে রাজি হবে না।
ভীষণ কেঁদেছিল গভীর রাতের বিভীষিকা
'যদিদং হৃদয়ং তব, তদিদং হৃদয়ং মম'
আমার আর কিছু বলার ছিল না।
কপালে আলপনা, মাথায় শোলার সাদা টোপর
সিল্কের পাঞ্জাবি, ঘিয়ে রঙের ধুতি
গলায় ফুলের মালা, যেন খাঁটি রাজপুত্তুর।
চারিদিকে খুশির মহল, জীবন ভালোবাসেনি আমাকে
সরল অভিধানে অন্ত্যমিল খুঁজেছি
সারারাত্রি মন অরণ্যে হেঁটেছি একাকী।
ফোনটা সুইচ অফ করলাম, এবার চির ঘুমের দেশে নির্বাসনে যাব
সময় এসেছে থামবার, প্রণাম নিও।
মৃত
পাড় ভাঙা নিঃশ্বাসে তুমি আমি জেগে
শিরা-উপশিরায় রক্ত শুকায় নদীর মতো করে।
কালো হাত ডাক দেয়,ওদের শরীরে আজ উৎসব হবে
ফেরোমনের উগ্রতায় সারি সারি ভিড়
ডিহাইড্রেশান থেকে রক্ষে পাওয়ার
শলাপরামর্শ চলে রক্তমাখা গায়ে,
ক্রমশ অন্ধকার ঘনায় বৈঠকী আড্ডায়
টুঁটি টিপে ধরে কেউ উড়ে যায় পাখির প্রাণ
গিরিপথের মুখ বন্ধ হয়
চিরপরিচিত মৃতপ্রায় আগ্নেয়গিরি তার নাম।
রেখা
ঘড়ি ধরে জীবন এগোয়, ব্যস্ত সব ঘড়ি বাবুরা
বাত ও হাঁটুর ব্যথায় কাবু এ যুগের জীবন সৈনিকরা।
মশাযুদ্ধে বাদুড় সেনাপতি, চলছে দিনভর বৈঠক
মেধা নয়, ক্ষমতার বলে জয়জয়কার দেশময়।
বিরোধী শূন্য ভাবছ কী? তোমার জেনে কোনো কাম নেই
দরজা বন্ধ, চোখ বন্ধ সবাই ফিরে পেতে চায় হারানো আনন্দ
যদি থাকত টাইম মেশিন, ফিরিয়ে দিতাম
তোমাদের সোনার খাঁচায় বন্দি দিনগুলো।
শিশু উদ্যান নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক, রাজনীতির কারবারিরা
খুঁজছে সুযোগ, এই তো মকা টেনে দাও ভাগ্যরেখা
ভাগ, বিভাগ, বিভক্ত...