অভিশাপ ও অন্যান্য কবিতা

জননী
কিছু সুগারকিউব রেখেছি যতনে
কিছু ভেসে গেছে জলে গ্রিন টির আস্ফালনে
তবু ভেসে ওঠে মায়ের মুখ অতল বেদনার ঘোরে
তবু বাজে রোদ্দুর ঘনঘোর বর্ষার অন্ধকারে
কে ছিলে গো তুমি জননীর অবগুণ্ঠনে!!!
এও কি সম্ভব!! এত ব্যথা
তুমিই দিয়ে গেলে !!!
দাগ
যদিও কোজাগরী চাঁদ ঢালে পূর্ণিমা, তবু
পূর্ণ হয়ে ওঠে না ওই মাধবী রাত
কপালে নীল হয়ে ফুটে থাকে
গত জনমের সব রক্তের দাগ…
নাম
পেনসিলে লেখা ছিল চিঠি
ইরেজারে মুছেছি বারবার
তবু ভেসে ওঠে আয়নায়
জলের মতো স্বচ্ছ নাম তার।
শ্যাডো অব মাউন্টেন
বিবাগী আগুনে জ্বলে যাবে চাঁদ
জ্যোৎস্নায় ধরা দেবে গাঢ় অন্ধকার
অতঃপর ছলনাময়ী লুকোবে এসে
পৃথিবীর প্রাচীন গুহায়
আলসে দেহ মেলে শুয়ে পড়বে
চাঁদেরই কিনারায় আবার...
অভিশাপ
আমি শ্রী গণেশ
পথে যেতে যেতে তোর ঘরে থামি একদিন
তোর সরস্বতীকে আমার ভীষণ ঈর্ষা...।
এভাবে কিছু কাল…
তারপর একদিন তোর পায়ে দলে যাওয়া ধান দুব্বা কুড়িয়ে নিয়ে চলে যাই দূর কোনো দেশে । যেখানে কোনো সরস্বতী নেই... অনেক দিনের বাদে কাগজে লেখা তোর দুর্ভিক্ষের ইতিহাস পড়ি। কাঁদি...। যে পথ ভেজা চোখের জলে। সে পথে রক্ত কাঁটায় ফুল হয়ে ফুটে থাকে সব জ্বালা। ছায়ায় জেগে থাকে দিন আর রাত। ও পথে আর চলা বারণ। তবু জ্যোৎস্নায় অন্ধ হয়ে যাওয়া তোর চোখ আমায় জাগিয়ে রাখে বহু রাত। তোর নিষিদ্ধ চুম্বনের প্রগাঢ় অন্ধকার আমাকে জাগিয়ে রাখে বহু দিন। তোর গণেশ হারিয়ে গেছে। তুই ভেসে যা... ভেসে যা এবার গঙ্গা জলে।