শামসেত তাবরেজীর কবিতা
অনুপ্রাসায়ন
বেলা দ্বিপ্রহর।
বিভঙ্গ দেখায়ে ইলোরা গহর বসন্ত সমীরে জাগে।
আমি ভাতঘুমে, বলো, ভাল্লাগে তখন এই বিলাস-ব্যসন—
ভরা উন্মার্গপনা? ওগো মনা, জন্ম যদি বঙ্গে তব আমি রব
মিথ্যার নিকট দেহ খুলে। কেন শুধু আমারে দুষিবে?
মন্ত্রিরা ধরিবে ময়ূরীকে, হ্যাতে তো দেখি না দোষ?
তারপরও চ্যাতে গৌরী ব্রহ্মপুত্র উঁজিয়ে, অরে সামলাও,
অর বাড়বাড়ন্ত ঢেউ, অশীলকলার মস্করা—এ কিরা’ম প্রেম
বস-করা তামাকের কটু গন্ধে, লালায়, ফাড়নে!
আমারে ঘুমাতে দাও সেপ্টেম্বর দিবসে
টুইন-টাওয়ার-ধসা বঙ্গবিতানে যেথা মরণ শিথানে
অলিকুল রবীন্দ্রসংগীত গায় বটবিরিক্ষির লিপস্টিক
ছায়ায়। আমি তো খেয়েছি ভাত, ইরি-বাইশ কলোৎপাদনের
ভারতীয় সুরম্য আমিষে রহে মিশে বৈদিক বাহাস।
আমারে ঘুমাতে দাও ভাতঘুমে উত্তর শিথানে,
ও বান্দরির চির-গোধূলির রঙ যেন স্পর্শে না মোরে।
আমি ছিলকা ছিলেছি আপন স্বভাব জ্বেলে এই মিম্বরের
আমার রেহেলে দুর্দৈব-ভাষিকা নাই, মসি ও মঁসিয়ে
হেথা নাই চলন্তিকা অভিধানে কাত হয়ে আলস্য-বিলাসে,
আমি তো বরং বস্তু-তরলে ডুবে রব, গ-গাড়লে
আমার যেমন ইচ্ছা সই পাতব দই-হওয়া রোদে।
আমারে ঘুমাতে দাও শিথিল দ্বিপ্রহরে
মউত-মওকায়, তা নইলে খবর আছে, ক’লাম কিন্তু!
এমন জাগব যে, সব শালাকে ধুতুরার শরবত খাইয়ে পাড়াব ঘুম,
এমন ঘুম যে কোনোদিন হ্যারা যেন জাগতে না পারে
কাভি কাভি মেরা দিলমে, এই বাংলাদেশে।urgentPhoto