ইলিশ রক্ষা অভিযানে জেলে ও স্থানীয়দের হামলায় আহত পাঁচ পুলিশ
মুন্সীগঞ্জ সদরের মেঘনা নদীর চরঝাপটা এলাকায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে গিয়ে জেলে ও এলাকাবাসীর হামলায় নৌ-পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্যেরা হলেন গজারিয়া নৌ-পুলিশের দায়িত্বরত উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সালাম (৪০), এসআই শাহ আলম (৩৫), সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ফয়সাল (৪০), কনস্টেবল ফয়সাল কবির (৪০) ও কনস্টেবল নজরুল। এর মধ্যে কনস্টেবল ফয়সাল কবিরকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অপর চার জনকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, হামলার সময় পুলিশ গুলি চালালে দুই নারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে দাবি করছেন স্থানীয় আধারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. মন্টু।
নৌ-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে মেঘনা নদীতে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে অংশ নেয় গজারিয়া ও চর আব্দুল্লাহ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। এ সময় মাছ শিকার করা জেলেদের ধরতে নদীর তীরে যান পুলিশ সদস্যেরা। তীরে পৌঁছালে পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় জেলে ও এলাকাবাসী। এ সময় পুলিশ ৪০টি গুলি চালায়। এতে দুই নারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। পুলিশের গুলি শেষ হয়ে গেলে আবারও হামলা চালায় গ্রামবাসী। এতে আহত হন গজারিয়া নৌ-পুলিশের দায়িত্বরত এসআইসহ পাঁচ সদস্য। পরে নৌ-পুলিশের অন্যান্য ফোর্স গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে।
নৌ-পুলিশের নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা জানান, আমাদের অভিযান প্রতিদিনই চলছে। এর আগেও কয়েকবার হামলা চালানো হয়েছিল। যখন জাল নিয়ে আসতে যাওয়া হয়, তখন জেলেরা হামলা করে। আজকের হামলায় পাঁচ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হামলাকারীদের ধরতে এলাকায় অভিযানে চলছে।’
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. সোহাগ জানান, আহত অবস্থায় পাঁচ জন হাসপাতালে এলে চার জনকে ভর্তি করা ও চিকিৎসা দেওয়া হয়। অপর একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।