কলারোয়ায় সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে উপহারের সাত ঘর
সাতক্ষীরায় বসবাসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় ভূমিহীনদের নামে বরাদ্দ দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর উপহারের সাতটি ঘর সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এসব ভূমিহীনের জন্য ভিন্ন জায়গায় ঘর তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। খুব শিগগিরই তারা সেখানে চলে যেতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করছে উপজেলা প্রশাসন।
কলারোয়া উপজেলার লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নের তৈলকুপি গ্রাম থেকে এসব ঘর সরিয়ে নিতে কাজ চলছে কয়েক দিন ধরে। নতুন স্থানে ঘর তৈরির কাজও চলছে। এর আগে সদ্য সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমি জেরিন যখন ঘরগুলো নির্মাণ করেন তখনই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
কলারোয়ার নতুন ইউএনও যুবায়ের হোসেন চৌধুরী জানান, কিছুদিন আগে ওই গ্রামে ১৩টি ভূমিহীন পরিবারের জন্য ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়। সেগুলো ভূমিহীনদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হলেও ঘরের কাজ শেষ হতে অনেকটাই বাকি ছিল। ইউএনও জানান, যে এলাকায় ১৩টি ঘর তৈরি করা হয় তার পাশে স্থানীয়রা মাটি ও বালু কেটে ফেলে। ফলে বৃষ্টির পানির চাপে কয়েকটি ঘরের পেছনে ভাঙন দেখা দেয়। সেখানে বসবাস ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় উপজেলা পরিষদ ছয়টি রেখে সাতটি ঘর ভেঙে সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। ইউএনও আরও জানান, বরাদ্দ পাওয়া ভূমিহীনদের জন্য কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের ভাদিয়ালি গ্রামে ৪২ শতক খাস জমিতে নতুন ঘর তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। অচিরেই সেগুলো তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ১৩টির মধ্যে ঝুঁকিমুক্ত থাকায় ছয়টি ঘর সেখানেই রয়েছে। সাতটি পরিবারের জন্য তৈরি ঘরগুলো প্রশাসনিক উদ্যোগে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভূমিহীনরাও এতে সম্মতি দিয়েছে।