কিশোরগঞ্জে বিএনপির দুজনসহ তিন মেয়র পদপ্রার্থীর ভোট বর্জন
কেন্দ্র দখল, এজেন্টদের বের করে দেয়া ও প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বসহ অনিয়মের বিভিন্ন অভিযোগ এনে কিশোরগঞ্জ ও কটিয়াদী পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির দুজনসহ এক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রার্থীরা হলেন কিশোরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইসরাইল মিয়া, কটিয়াদী পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন খান দিলীপ ও একই পৌরসভা নির্বাচনে মোবাইল ফোন প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালমা আনিকা।
আজ দুপুর ২টার দিকে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইসরাইল মিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতাদের নেতৃত্বে তাদের কর্মীরা আমার এজেন্টদের বের করে দিয়ে কেন্দ্র দখল করে নেওয়া ও প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের কারণে নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এ সময় সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, রুহুল হোসাইন ও শরীফুল ইসলাম, সিনিয়র সহসাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আলম ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম আশফাক।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে শহরের ওয়ালীনেওয়াজ খান কলেজের পূর্ব তিনতলা ভবন কেন্দ্রে সহিংসতার ঘটনায় ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করা হয়। কিশোরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের স্থগিত কেন্দ্রটি ছাড়া বাকি ২৭টি কেন্দ্রের ঘোষিত বেসরকারি প্রাথমিক ফলাফলে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. পারভেজ মিয়া (নৌকা) ৪৮৪ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। স্থগিত কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ১৮৫২ হওয়ায় নির্বাচনী ফলাফল নির্ধারণের জন্য আজ ওই স্থগিত কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠানের তারিখ ধার্য ছিল।
এর আগে আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কটিয়াদী পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন খান দিলীপ ও একই পৌরসভা নির্বাচনে মোবাইল ফোন প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সালমা আনিকা বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।