কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর, মাদ্রাসার দুই ছাত্রের স্বীকারোক্তি
কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর করার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে মাদ্রাসাছাত্র মিঠুন ও নাহিদ। পরে তাদের আদালতের আদেশে কারাগারে পাঠানো হয়।
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আজ রোববার দুপুর ২টায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে পুলিশ দুই আসামিকে আদালতে আনে। ২টা ৪০ মিনিটে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া শুরু হয়। প্রথমে আসামি নাহিদকে আলাদা করে জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। এরপর অপর আসামি মাদ্রাসাছাত্র মিঠুনের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক দেলোয়ার হোসেন প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে এই জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে সন্ধ্যার আগে আসামিদের কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে ভাঙচুরের সঙ্গে সরাসরি জড়িত মাদ্রাসার দুই ছাত্র আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
এই ঘটনার সঙ্গে আরো কেউ, বা কোনো গোষ্ঠী জড়িত আছে কি না, সেই বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, তদন্তের অগ্রগতি আছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না। যদি অন্য কারো নাম আসে, বা যেই এর সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেনো সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
গতকাল একই মামলার অপর দুই আসামি মাদ্রাসাশিক্ষক আল আমিন ও ইউসুফ আলীও চার দিনের রিমান্ড শেষে একই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। গত ৮ ডিসেম্বর পুলিশের আবেদনে চার আসামির মধ্যে দুই মাদ্রাসাছাত্রের পাঁচ দিন করে ও দুই মাদ্রাসাশিক্ষককে চার দিনের পুলিশ রিমান্ড দেন আদালত। ৯ তারিখ থেকে তাদের রিমান্ড শুরু হয়।
গত ৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে পৌরসভার নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পৌরসভার পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় পুলিশ সিসি ক্যামেরার ভিডিও দেখে ভাঙচুরের সঙ্গে সরাসরি জড়িত দুই মাদ্রাসাছাত্রকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে। ঘটনার পরে মাদ্রাসার ওই দুই ছাত্রকে সহযোগিতা করার জন্য মাদ্রাসার দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদেরও এ মামলায় আসামি করা হয়।