গাজীপুরে শিশু সন্তানকে খুন করে বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা
গাজীপুরে অভাবের তাড়না সহ্য করতে না পেরে তামান্না (৮) নামে শিশু সন্তানকে বালিশচাপা দিয়ে খুন করেছে বাবা। এসময় নিহতের বাবা ব্লেড গিলে খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা তরিকুল ইসলামকে আটক করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। তার বাড়ি দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানার নন্দনপুর এলাকায়।
মহানগরীর কাশিমপুর থানার পূর্ব এনায়েতপুরের সবুজকানন এলাকায় আজ শনিবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
জিএমপির কাশিমপুর থানার এসআই নাহিদ আল রেজা ও নিহতের মা নাদিরা জানান, ‘প্রায় তিন সপ্তাহ আগে কাজের সন্ধানে গ্রামের বাড়ি থেকে স্ত্রী ও এক সন্তানকে নিয়ে গাজীপুরে আসেন তরিকুল ইসলাম। এ দম্পতি নিজেদের সাড়ে তিনবছরের অপর সন্তানকে গ্রামের বাড়ি রেখে আসেন। কাশিমপুর থানার পূর্ব এনায়েতপুরের সবুজ কানন এলাকার ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি নেন তরিকুল ও তার স্ত্রী নাদিরা। পারিবারিক অভাব অনটনের জ্বালা যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অস্থিরতায় ভুগছিলেন তরিকুল। প্রতিদিনের মতো শনিবার ৮ বছরের শিশু সন্তান তামান্নাকে বাসায় রেখে কর্মস্থলে যান নাদিরা। তবে এদিন তার স্বামী কর্মস্থলে যায়নি। স্ত্রীর অনুপস্থিতির সুযোগে দুপুরে তরিকুল বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে তার ৮ বছরের সন্তান তামান্নাকে হত্যা করে। পরে সে ব্লেডের টুকরো গিলে খেয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। প্রতিবেশীরা টের পেয়ে বিকেলে পুলিশকে সংবাদ দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত শিশুর লাশ উদ্ধার করে। এসময় গুরুতর আহতাবস্থায় শিশুটির ঘাতক বাবাকে আটক করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য শিশুটির লাশ সন্ধ্যায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ‘তরিকুল ব্লেড গিলে খাওয়ায় কথা বলতে পারছে না। তবে হাত দিয়ে লিখে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’