ছেলেকে নিয়ে সাগর দেখা হলো না আওয়ামী লীগ নেতার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের একজন ইয়াছিন আরাফাত (১১)। তাকে নিয়ে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে করে চট্টগ্রামে সাগর ও দর্শনীয় স্থান দেখতে যাচ্ছিলেন বাবা আলমগীর আলম। কিন্তু ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় আদরের সন্তানকে হারিয়েছেন তিনি। আহত হয়েছেন নিজে।
আলমগীর হবিগঞ্জ শহরতলীর বড়বহুলা গ্রামের বাসিন্দা ও পৌর আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক। তিনি বহুলা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। তাঁর ছেলে ওই বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। সে স্টুডেন্ট কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য ছিল। ছেলেকে হারিয়ে তার মা হাসিনা আক্তার আজ মঙ্গলবার বার বার মূর্চ্ছা যাচ্ছিলেন।
ট্রেন দুর্ঘটনায় ইয়াছিনসহ সাতজনকে হারিয়েছে হবিগঞ্জবাসী। বাকিরা হলেন হবিগঞ্জ পৌরসভার আনোয়ারপুর এলাকার বাসিন্দা ও জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি আলী মোহাম্মদ ইউসুফ (৩২), বানিয়াচং উপজেলার তাম্বুলিটুলা গ্রামের সোহেল মিয়ার আড়াই বছরের মেয়ে আদিবা আক্তার সোহা ওরফে ছোঁয়ামণি ও মদনমুরত গ্রামের আল-আমিন (৩০), চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা গ্রামের পশ্চিম তালুকদার বাড়ির ফটিক মিয়া তালুকদারের ছেলে রুবেল মিয়া তালুকদার (২০), মিরাশী ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামের আবুল হাসিম মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া (৩০) ও একই উপজেলার আহমদাবাদ গ্রামের পিয়ারা বেগম (৩২)। গতকাল সোমবার রাতে তাঁরা উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে করে চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন। রাত ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা ও সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রাম অভিমুখী উদয়ন এক্সপ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষে তাঁরা নিহত হন। ওই দুর্ঘটনায় আরো নয়জন নিহত হয়েছেন।