প্রবীণ রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এমদাদুল হক চৌধুরী আর নেই
গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, প্রবীণ রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এমদাদুল হক চৌধুরী (৮৫) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আজ সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি তিন ছেলে, এক মেয়েসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
ছাত্রলীগ দিয়েই বীর মুক্তিযোদ্ধা এমদাদুল হক চৌধুরীর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। তিনি যুবলীগ করেছেন। এরপর তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের রাজনীতির বাতিঘর প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভুত্থান, মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০-এর গণআন্দোলনসহ বিভিন্ন লড়াই সংগ্রামে অংশ নিয়েছেন। তিনি গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রশাসক হিসেবে কাজ করেছেন।
সৎ, নির্লোভ এমদাদুল হক চৌধুরী পত্নী বিয়োগের পর কয়েক যুগ ছেলেমেয়েদের সঙ্গে অত্যন্ত সাদামাটা জীবন যাপন করেছেন। তার মতো ত্যাগী ও ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন রাজনীতিবিদ বর্তমান সময়ের রাজনীতিতে বিরল।
এমদাদুল হক চৌধুরীর মৃত্যুর খবরে গোপালগঞ্জে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর মৃতুতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, গোপালগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, গোপালগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহম্মদ ফারুক খান, জেলা আওয়ামী লীগ, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, জেলা উদীচী, গোপালগঞ্জ রিপোর্টার্স ফোরাম, গোপালগঞ্জ টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শ্রমজীবী ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে গভীর শোক এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জ শহরের সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানিকদাহ গ্রামে তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমের মরদেহ দাফন করা হবে। এর আগে আজ বিকেল ৩টায় ঢাকার কলাবাগানে মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।