ভুল করে বাংলাদেশে ঢুকে জেল খেটে দেশে ফিরল ভারতীয় তিন নাগরিক
বাংলাদেশে দুই বছর ছয় মাস সাজাভোগের পর দেশে ফিরে গেলেন বাকপ্রতিবন্ধীসহ তিন ভারতীয় নাগরিক। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের লোকসভা সংসদের বালুরঘাটের সাংসদ ড. সুকান্ত মজুমদারসহ বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যরা।
দেশে ফিরে যাওয়া ভারতীয় নাগরিকেরা হলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর থানার চতরাগাছ গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে কাজু মোহাম্মদ (৪০) ও একই এলাকার বরদুল ইসলামের ছেলে বাকপ্রতিবন্ধী আকেল মোহাম্মদ (১৭) এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থানার ধরন্দা গ্রামের বিনোদ দেবনাথের ছেলে মানিক দেবনাথ (৩০)। তারা দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও যশোহর জেলে আটক ছিলেন।
বাংলাদেশের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেকেন্দার আলী জানান, ২০১৯ সালের বিভিন্ন সময়ে এই তিনজন ভারতীয় নাগরিক হিলি ও পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এ সময় তাদের কাছে কোনো পাসপোর্ট বা ভিসা না থাকায় বিজিবি সদস্যরা আটক করে থানায় মামলা দেয়। পরে আদালত বিভিন্ন মেয়াদে তাদের জেল দেন। দীর্ঘ আড়াই বছর সাজাভোগের পর দুই দেশের আইনি প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার ভারতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভারতের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপ্রা রায় জানান, অনুপ্রবেশের অভিযোগে তারা বাংলাদেশে আটক ছিলেন। আজ তাদের আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের পরিবারের কাছে তুলে দেব।’
মুক্তি পাওয়া মানিক দেবনাথ বলেন, ‘আমি সীমানা ভুলে ২০১৯ সালের ৮ মার্চ হিলি সীমান্তের ঘাসুড়িয়া এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ি। এর কিছু পর বিজিবি আমাকে আটক করে জেলে দেয়। ভুলের কারণে আমি দিনাজপুর জেলে আড়াই বছর ধরে আটক ছিলাম।’
এদিকে, ভারতের লোকসভা সংসদের বালুরঘাট আসনের সাংসদ ড. সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘বেশকিছু দিন আগে মানিক দেবনাথের বাবা আমার পার্টির অফিসে দেখা করে বলে তাঁর ছেলে ভুল করে বাংলাদেশে ঢুকে গেছে। তাকে ফিরে নিতে ব্যবস্থার কথা জানালে আমি তবে থেকেই লেগে আছি। অনেকদিন ধরে চেষ্টা করার পর সফল হয়েছে। এজন্য আমি খুশি হয়েছি। ঘরে ছেলে বাবা-মায়ের কাছে ফিরে এসেছে। ভালো লাগছে। আরও তাড়াতাড়ি ফেরাতে পারলে আরও ভালো হতো। আমি অন্ততপক্ষে সন্তোষ্ট হয়েছি।’