ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পেল নতুন অ্যাম্বুলেন্স
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পেল নতুন আরও একটি অ্যাম্বুলেন্স। নতুন এই অ্যাম্বলেন্সটি ২০ শয্যা বিশিষ্ট বিশেষায়িত হাসপাতাল ট্রমা সেন্টারে স্থাপিত করোনা আইসোলেশন সেন্টারের রোগী বহনের জন্য ব্যবহার করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি লুবনা ফারজানা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অ্যাম্বুলেন্সটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
ট্রমা সেন্টারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আতিক আহম্মেদ সৌরভ।
এ সময় অতিথিরা বলেন, করোনা মহামারিতে ভৈরবের করোনা রোগী ও মুমূর্ষু রোগীদের জন্য এই অ্যাম্বুলেন্সটি বড় পাওয়া। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া এই অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্সটির যেন সঠিক ব্যবহার হয়। অ্যাম্বুলেন্সটির যথাযথ ব্যবহারে হাসপাতালের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়বে বলে তাঁরা অভিমত ব্যক্ত করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. খুরশীদ আলম বলেন, ‘স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য গতকাল মঙ্গলবার নতুন এই অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়। এ নিয়ে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স হলো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তবে একটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে। আর একটি মেরামতের জন্য দেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই মেরামত কাজ শেষ হলে দুটি অ্যাম্বুলেন্স এক সঙ্গে রোগী বহনে ব্যবহার করা যাবে।
চালক সংকট রয়েছে বলে উল্লেখ করে ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চালকের জন্য লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে। বর্তমান সময়ে খুব প্রয়োজন ছিল এই অ্যাম্বুলেন্স। করোনা মহামারিতে কখন কাজে লাগে বলা যায় না। মুমূর্ষু রোগীদের দেশের যেকোনো বড় হাসপাতালে দ্রুত নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।’
এ সময় ওই কর্মকর্তা সার্বিক সহযোগিতার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ মো. নাজমুল হাসান পাপনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।