ভৌগোলিক কারণে হিলি স্থলবন্দর গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে : ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার
ভৌগোলিক কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমাদের কাছে হিলি স্থলবন্দর দিন দিন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার। আজ রোববার (২ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদের সভাপতিত্বে সংগঠনটির সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার বলেন, ‘বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানিতে যেসব বাধা রয়েছে, তা অচিরেই সমাধান করা হবে। ভারত অংশে রাস্তা প্রশস্ত, উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র ও কাস্টমসের উপকমিশনার কার্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণ করা হবে।’
ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশিদের সব ধরনের ভিসা দিচ্ছি। ভিসা ব্যবস্থা সহজ করা হয়েছে। তবে অচিরেই ব্যবসায়ীরা পাঁচ বছর মেয়াদি বিজনেস ভিসা পাবেন। বালুরঘাট-হিলি-মেঘালয়ের তুরা পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য কাজ চলছে। যেখানে বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের মধ্যে উচ্চতর সম্পর্ক রয়েছে, সেখানে হিলি রেলস্টেশনের কার্যক্রমের উপর আমাদের কোনো বাধা নেই।’ হিলিতে মৈত্রী ট্রেনের স্টপেজের বিষয়ে আশ্বাস দেন তিনি।
এর আগে বন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর এ আলম, কাস্টমস উপকমিশনার বায়জিদ হোসেন, পৌর মেয়র জামিল হোসেন, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রহমান লিটন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুর রেজা, সহকারী পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ছায়েম মিয়া, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধিসহ অনেকে।
সকাল ১০টায় ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার রাজশাহী থেকে সড়ক পথে হিলি স্থলবন্দরে আসেন। এ সময় তিনি ডাকবাংলোয় পৌঁছালে স্থানীয় প্রশাসন ও ব্যবসায়ীরা তাঁকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
এরপর ভারতীয় মনোজ কুমার হিলি চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যান। তিনি সেখানকার ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস কার্যালয় পরিদর্শন করে ফিরে আসেন। পরে বন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের অভ্যন্তর পরিদর্শন করেন। বেলা সাড়ে ৩টায় দিনাজপুরের উদ্দেশে রওনা দেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার। হিলি সফরকালে তাঁর স্ত্রীও সঙ্গে ছিলেন।