মুন্সীগঞ্জে ৯ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার পৃথক দুটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে নয় কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস বিতরণ লাইন বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে এ অভিযান। এ সময় আইন অমান্য করে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করায় একটি খাবার হোটেল ও একজন গ্রাহককে ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা আর্থিক দণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নয় কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন দুটির মাধ্যমে আতিকনগর, বালুয়াকান্দি, শান্তিনগর, কাজীরগাঁও, বড় রায়পাড়া, ছোট রায়পাড়া, আড়ালিয়া, মুদারকান্দিসহ মোট আটটি গ্রামে অন্তত আট হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ চলত বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গজারিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) জি এম রাশেদুল ইসলাম।
জি এম রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘আইন অমান্য করে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে একটি খাবার হোটেলকে ১০ হাজার টাকা ও ইলিয়াস হোসেন (৬৫) নামে এক আবাসিক গ্রাহককে ১০ হাজার টাকা আর্থিক দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন তিতাস গ্যাসের সোনারগাঁ আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সরুজ আলম, মেঘনা আঞ্চলিক বিপণন অফিসের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান।
তিতাস গ্যাসের সোনারগাঁ আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সরুজ আলম বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে লাইন দুটি খুঁজে বের করা হয়। বালুয়াকান্দি থেকে মুদারকান্দি পর্যন্ত একটি লাইন। যার দৈর্ঘ্য আনুমানিক ছয় কিলোমিটার। এর মাধ্যমে প্রায় সাত হাজারের মতো অবৈধ গ্যাস সংযোগ চালু ছিল। অন্যদিকে, বালুয়াকান্দি আতিকনগর থেকে বালুয়াকান্দি গ্রাম পর্যন্ত আরেকটি লাইন। যার দৈর্ঘ্য প্রায় তিন কিলোমিটার। এটির মাধ্যমে অন্তত এক হাজার অবৈধ সংযোগ চালু ছিল। এই দুটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। গজারিয়া উপজেলার আরও কিছু জায়গায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ চালু রয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। পর্যায়ক্রমে অভিযান পরিচালনা করে সব অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।’