রিজেন্টের এমডির তথ্যে সাহেদ গ্রেপ্তার : র্যাব
রিজেন্ট হাসপাতালের এমডি মাসুদ পারভেজকে গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হাসপাতালটির চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ বুধবার বিকেলে উত্তরায় র্যাবের সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান র্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
রিজেন্ট হাসপাতালের প্রতারণার ঘটনার প্রধান আসামি মো. সাহেদকে আজ বুধবার ভোরের দিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নজরদারি বাড়ানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাহেদের প্রতারণার অন্যতম সহযোগী রিজেন্ট গ্রুপের এমডি এবং মামলার দুই নম্বর আসামি মাসুদ পারভেজকে গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকা থেকে র্যাব গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতকে জিজ্ঞাসাবাদে পলাতক সাহেদের সম্ভাব্য পরিকল্পনা এবং অবস্থান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়।’
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘সাহেদের দেশত্যাগের ব্যাপারে কয়েকটি পরিকল্পনা র্যাবকে অবহিত করেন মাসুদ পারভেজ। ফলে আমরা সাতক্ষীরাসহ বেশ কয়েকটি সীমান্তবর্তী এলাকায় গোপনে গোপনে নজরদারি বৃদ্ধি করি। মাসুদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই, পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর সীমান্ত এলাকা আমরা সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করি। সর্বশেষ আজ ভোর ৫টা ১০ মিনিটের দিকে সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে অন্য দেশে পালানোর সময় বিদেশি অবৈধ অস্ত্র ও গুলিসহ সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।’
সাহেদের প্রতরণার ঘটনায় অনেকেই ভুক্তভোগী হয়েছেন। ভুক্তভোগীদেরা কথা বলতে গিয়ে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ভুক্তভোগী যারা আমাদের কাছে আসছেন তাঁদের আমরা আইনানুগ পরামর্শ দিচ্ছি। সহায়তা করছি, কীভাবে তিনি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানায় যাবেন বা আমাদের কাছে যদি আসতে চান আমরা সে সহায়তা প্রদান করছি।’
সাহেদকে চতুর ধুরন্ধর ও অর্থলিপ্সু ব্যাখ্যা দিয়ে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘রিজেন্ট হাসপাতালের কর্ণধার সাহেদ করিম নিজেকে যতই ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করুক না কেন, তিনি মূলত চতুর ধুরন্ধর, অর্থলিপ্সু।’
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সাহেদের নামে প্রায় ৫০টির অধিক মামলা রয়েছে। এ থেকেই তিনি কতটা প্রতারক সেটি বুঝতে পারছেন। কোনো জায়গায় স্থিরভাবে তিনি থাকেননি। রাজধানী থেকে বের হয়েছেন, আবার রাজধানীতে ঢুকেছেন আবার বের হয়েছেন। আমরাও তাকে প্রথম থেকেই সেভাবেই অনুসরণ করছিলাম। একপর্যায়ে তাকে ধরতে সক্ষম হই। গত ৬ জুলাইয়ের পর থেকে সাহেদ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্নভাবে চলাফেরা করতেন। কখনো গণপরিবহনে, কখনো ব্যক্তিগত গাড়িতে, কখনো ট্রাকে চড়ে আবার কখনো হেঁটে চলাফেরা করেছেন।’