সরকারি ঘর নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে যুবকের কারাদণ্ড
বরিশাল সদর উপজেলায় ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের সরকারি ঘর বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে অর্থ আত্মসাতের অপরাধে খলিলুর রহমান নামে একজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার (এইএনও) নির্দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সদরের ভূমি কর্মকর্তা নিশাত তামান্না খলিলুর রহমানকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে জানায়, বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়নের বারইকান্দি ও পতাং গ্রামে গিয়ে একটি কমিটি গঠন করেন দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত খলিল। তার বাড়ি সদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের রায়পাশা গ্রামে। এরপর ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প থেকে যাদের বাড়ি প্রয়োজন তাদের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে নেন। এরপর ঘর না দিয়ে ভুক্তভোগীদের ঘোরাতে থাকেন তিনি। পরে ঘর না পাওয়ায় টাকা ফেরত চায় ভুক্তভোগীরা। তখন টাকা ফেরত না দিয়ে তিনি তালবাহানা শুরু করেন। সম্প্রতি একজনকে দেওয়া ব্যাংক চেক প্রত্যাখ্যাত হয়। তখন তারা প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারে।
আজ রোববার একজন টাকা দেওয়ার কথা বলে খলিলকে বরিশাল নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে আসতে বলেন। এতে তিনি সেখানে আসেন। সেখান থেকে ধরে তাকে বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার (এইএনও) কাছে সোপর্দ করে ভুক্তভোগীরা।
এ ঘটনায় এইএনওর নির্দেশে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বরিশাল সদরের ভূমি কর্মকর্তা নিশাত তামান্না। তিনি জানান, খলিলুর রহমান কোনোভাবেই একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত নন। তিনি যে এ প্রকল্পের নামে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, তা প্রমাণিত হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে খলিল এসব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এ অপরাধে তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।