সিআইডি পরিচয়ে চিকিৎসককে তুলে নেওয়ার অভিযোগ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/09/13/rampura-thana.jpg)
শাকির বিন ওয়ালী সদ্য এমবিবিএস পাস করা একজন চিকিৎসক। তাঁর বাবা এ কে এম ওয়ালী উল্লাহও চিকিৎসক। বাবার অভিযোগ, সিআইডি পরিচয়ে চার জন তাঁর ছেলেকে তুলে নিয়ে গেছে।
গত রোববার রাজধানীর রামপুরার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। আজ মঙ্গলবার এনটিভি অনলাইনকে এসব তথ্য করেন রামপুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি ওয়ালী উল্লাহ আমাদের মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।’
এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা বা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়নি জানিয়ে গোলাম মাওলা বলেন, ‘ঘটনার পর শাকির বিন ওয়ালীর বাবা ওয়ালী উল্লাহ থানায় এসেছিলেন। তিনি আমাদের জানিয়েছেন, তাঁর ছেলেকে সিআইডি পরিচয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ফলে, প্রথমে আমরা তাঁকে সিআইডিতে যোগ করতে বলি। তারপর তিনি সিআইডিতে যাবেন বলে আমাদের জানিয়ে চলে যান।’
এ কে এম ওয়ালী উল্লাহর দাবি, তিনি থানায় জিডি করতে চাইলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। তবে, তাঁর এ দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাম মাওলা বলেন, ‘তিনি জিডি করতে চাননি। মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন। তিনি থানা থেকে চলে যাওয়ার পর আর থানায় আসেননি। ফলে, এ ঘটনার আপডেট আমরা জানি না।’
এ কে এম ওয়ালী উল্লাহ একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রায় দুই যুগ ধরে পূর্ব হাজীপাড়ার ৬৮/১ নম্বর বাসায় স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে থাকেন তিনি। গত রোববার বিকেল ৩টার দিকে সিআইডি পরিচয়ে সাদা পোশাকে চার ব্যক্তি বাসায় যান। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। যাওয়ার সময় তারা নিজেদের সিআইডির কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেন।
সংবাদমাধ্যমকে এ কে এম ওয়ালী উল্লাহ আরও জানান, থানা থেকে ফেরার পর ওইদিন আরও চার থেকে পাঁচ জন পুনরায় রামপুরার বাসায় যান। শাকির বিন ওয়ালীর কক্ষে তল্লাশি চালান। তখনও তাঁরা নিজেদের বিস্তারিত পরিচয় জানাননি। শাকিরের বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, শাকির সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ে আছেন। তদন্তের জন্য দ্বিতীয়বার বাসায় এসেছেন তাঁরা। সে সময় তাঁরা একটি মুঠোফোন নিয়ে যান।
ওয়ালী উল্লাহ ছেলের খোঁজে গতকাল সোমবার মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে যান। কিন্তু, ছেলের কোনো খোঁজ পাননি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি না। জেনে বলতে হবে।’