সোনারগাঁওয়ে মাসব্যাপী লোক ও কারুশিল্প মেলা
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও লোকজ ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের আয়োজনে মাসব্যাপী লোক উৎসব ও কারুশিল্প মেলা শুরু।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এই মেলার উদ্বোধন করেন।
বাঙালি সংস্কৃতি ও গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য চারু কারু শিল্প সংগ্রহ ও সংরক্ষণ মেলার প্রধান লক্ষ্য। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা প্রায় ৪৮ জন কারুশিল্পী এই মেলায় অংশ নিয়েছেন।
সোনারগাঁওয়ে কারুশিল্প ফাউন্ডেশন আরও ব্যাপক আকারে বিস্তৃত করার জন্য দৃষ্টি নন্দন আবকাঠামো নির্মণের কাজও চলছে। আর বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য বিষয়ে গবেষণার জন্য যে কেউ এই ফাউন্ডেশনের সহযোগিতা নিতে পারেন বলেও জানালেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,প্রতি বছর ১৫ লাখ দেশি-বিদেশি দর্শনার্থী আসেন এখানে। লোকজ ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন নির্মাণের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনকে বাংলার প্রাচীন রাজধানী সোনারগাঁওয়ের এই জায়গাটি বরাদ্দ দিয়ে ছিলেন। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য এবং লোকজ ও কারুশিল্পের বিকাশ, প্রদর্শন ও সংরক্ষণের কাজ করছে এই প্রতিষ্ঠান।
এবার মেলায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য রাজশাহীর শখের হাড়ি,রংপুরের শতরঞ্জি,শোলা শিল্প,নকশী কাঁথা,বাঁশ বেত কাঠের চারু ও কারুশিল্প এবং বিভিন্ন রকম শিল্পের ৪৮ জন শিল্পী তাদের কাজ প্রদর্শন করছেন। প্রদশির্ত হচ্ছে গ্রাম বাংলার বিভিন্ন রকম খেলাধুলা, জারিসারি ভাটিয়ালি গান, পুঁতি পাঠ। এসব দেখে দর্শনার্থীরা যেমন আনন্দ পাচ্ছেন, তেমনি শিল্পীরাও গর্ববোধ করছেন।
এদিকে সোনারগাঁওয়ের সন্তান জাতীয় পর্যায়ের এক কবি বলেন,আরও বেশি সংখ্যক গ্রামীণ শিল্পীকে নিয়ে এই মেলায় অংশ গ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া দরকার। মানবেতর জীবনযাপন করা গ্রামীণ শিল্পীরা সুযোগের অভাবে একসময় হারিয়ে যাবেন। ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষের কিছু অনিয়মের অভিযোগও তুলে ধরেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে ফাউন্ডেশনের পরিচালক বলেন,শিল্পীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষে ফাউন্ডেশনের অবকাঠামোর উন্নয়ন কাজ চলছে। এ জন্য সরকার ১৪৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৯৮ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে।
মেলায় বিদেশি পণ্য বর্জন করে ১০০ স্টল রয়েছে। এই উৎসব ও মেলা চলবে আগামী ২৩ মার্চ পর্যন্ত।