হাবিপ্রবির দুই ছাত্র খুনের আসামি আ. লীগনেতা কাঞ্চন জেলহাজতে
দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) দুই ছাত্র হত্যা মামলার তিন নম্বর আসামি আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযোগপত্র দাখিলের এক বছর পর দিনাজপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন কাঞ্চন। এ সময় জামিনের আবেদন করলে ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান সরকার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে ২০২০ সালের ২৯ জুলাই দিনাজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে (সদর) অভিযোগপত্র দাখিল করেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক (ওসি) রমজান আলী।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৬ এপ্রিল দিনাজপুর হাবিপ্রবির ভেটেরিনারি অনুষদের নবীনবরণ অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে রাত ৮টার দিকে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ সশস্ত্র হামলা চালায়। এ সময় তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান ও ফাঁকা গুলি করেন। পরে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মারধরও করেন। এর জবাবে অপর একটি গ্রুপ প্রতিরোধ গড়ে তুললে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র জাকারিয়া শহীদ নুর হোসেন ও কৃষি বিভাগের ছাত্র মাহমুদুল হাসান মিল্টন মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি মামলায় ৪১ জনকে আসামি করা হয়। একই ঘটনায় ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল নুর বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৫০ থেকে ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০২০ সালের মার্চে মামলা তিনটি সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়। তদন্ত শেষে ২৬ জনকে (এরমধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চনের নাম রয়েছে ৩ নম্বরে) অভিযুক্ত করে একই বছরের ২৯ জুলাই অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির ওসি রমজান আলী।
এরপর থেকে পলাতক ছিলেন কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন। এ মামলায় জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি আবু ইবনে রজবসহ কয়েকজন জামিনে রয়েছেন।
দিনাজপুরের কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান জানান, আসামি বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।