৭ বছর পর একইস্থানে বাঘের থাবায় প্রাণ গেল ছেলের

মৌয়াল বাবা ইসলাম সরদারকে বাঘে খাওয়ার সাত বছরের মাথায় এবার একই স্থানে মানুষখেকোর থাবায় প্রাণ হারালেন ছেলে রেজাউল ইসলাম (৩৫)। গতকাল শুক্রবার ঈদের দিন সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে এ ঘটনা ঘটে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের দক্ষিণ তালপট্টি এলাকায়।
নিহত রেজাউল ইসলাম শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের চকবারা গ্রামের ইসলাম সরদারের ছেলে।
বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক এমএ হাসান বাঘের থাবায় রেজাউলের নিহত হওয়ার ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, গত সপ্তাহে রেজাউল ও তাঁর সঙ্গীরা বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন থেকে পাস নিয়ে সুন্দরবনে মৌচাক ভাংতে যান। মধু সংগ্রহ শেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ তালপট্টি এলাকায় যখন নৌকায় উঠছিলেন ঠিক তখনই একটি মানুষখেকো বাঘ দ্রুতবেগে ছুটে এসে হামলা করে রেজাউলের ঘাড়ের টুটি চেপে ধরে। মুহূর্তের মধ্যে আতঙ্কিত সঙ্গীরা তাঁকে রক্ষার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। বাঘটি রেজাউলকে টেনেহেঁচড়ে জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁর দেহে কামড় বসানো শুরু করলে সঙ্গীরা বাঘটিকে তাড়া করে। পরে বাঘটি রেজাউলের মরদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
সহকারী বন সংরক্ষক আরও জানান, রেজাউলের মরদেহ নিয়ে শুক্রবার রাতেই সঙ্গীরা বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়। আজ শনিবার দুপুরে তাঁর লাশ পৌঁছায় চকবারা গ্রামে। এ সময় হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে।
নিহত রেজাউলের স্ত্রী মুর্শিদা খাতুন জানান, ২০১৪ সালে তাঁর শ্বশুর ইসলাম সরদারকে একই স্থানে বাঘ হামলা করে। এতে তিনি প্রাণ হারান।
গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত সুন্দরবনে বাঘের থাবায় পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছেন।