মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীর গুলিতে আহত দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক

কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিনে সাগর উপকূলে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) গুলিতে আহত ছয় বাংলাদেশির মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সেন্ট মার্টিনের ছেঁড়া দ্বীপের পূর্ব পাশে ফিশিং বোট নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে গেলে ওই ছয়জনকে গুলি করে বিজিপি।
গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিরা হলেন—কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়ার উসমান গণি, মো. ইলিয়াছ, একই গ্রামের মো. রফিকুল ইসলাম, নুর আহমেদ, কক্সবাজার মহেশখালীর সাইফুল ইসলাম ও নুর কায়েছ। তাঁরা সবাই কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়ার বাসিন্দা মো. রহিম সওদাগরের মালিকাধীন এফবি খালেদা-১ নামক একটি বোটে করে মাছ ধরছিলেন। বোটটিতে অন্তত ১৪ জন মাঝিমাল্লা ছিলেন।
ভুক্তভোগীরা জানান, গতকাল দুপুরে সেন্ট মার্টিনের ছেঁড়া দ্বীপের পূর্ব পাশে ফিশিং বোট নিয়ে সাগরে মাছ ধরছিলেন বাংলাদেশি জেলেরা। এ সময় বিজিপি বাংলাদেশি জেলেদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে অন্তত ছয়জন গুলিবিদ্ধ হন। এর পর গুলিবিদ্ধ জেলেদের ধরে মিয়ানমারে নিয়ে যায় সে দেশের নৌবাহিনীর সদস্যরা। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর বাংলাদেশে ফিরে মিয়ানারের প্রসঙ্গ উল্লেখ না করে উল্টো জেলেদের ডাকাত দলের কবলে পড়ার কথা বলতে শিখিয়ে দেয় মিয়ানমারের বাহিনী।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, গভীর রাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ ছয়জনকে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকের শরীরে গুলির আঘাত রয়েছে। এঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সেন্ট মার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ডালিম বড়ুয়া জানান, বিকেলে গুলিবিদ্ধ ছয় জেলেকে কোস্টগার্ডের সদস্যরা উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তাঁদের হাত, পা ও চোখের নিচে গুলির চিহ্ন রয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে নাফ নদসহ সেন্ট মার্টিন সাগর উপকূলে জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।